বিএসএফ-বিজিবির মানবিকতায় বোনের মরদেহ দেখলো ভাই
মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে ১০৫নং পিলারের শুন্য রেখায় ভারতীয় নাগরিক বোনের মরদেহ বাংলাদেশী নাগরিক ভাইকে দেখানোর ব্যবস্থা করলো বিজিবি-বিএসএফ। শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে স্বাধীনতা সড়কের বেলতলায় সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে স্বজনদে শেষ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
মুজিবনগর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার শহিদ শেখ ও বিএসএফ এর হৃদয়পুর ক্যাম্প কমান্ডার তরুণ কুমার শর্মার উদার মানবিকতায় দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী ভাই বোনের শেষ দেখার ব্যবস্থা করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উভয় দেশে অবস্থানরত স্বনরা। এসময় ক্যাম্প কমান্ডারসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ শুন্য রেখায় উপস্থিত ছিলেন। সকল আয়োজনে সার্বিক সহযোগীতা করেন মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউপি সদস্য সিবাস্তিন মল্লিক।
বিজিবি সূত্রে জানাগেছে, ৩৫ বছর আগে বিবাহসূত্রে ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হৃদয়পুরে বসবাস করতেন সুকৃতি মন্ডল। দির্ঘদিন যাবৎ তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামে তার ভাই প্রভুদান হালসোনা স্থানীয় ইউপি সদস্য সেবাস্তিন মল্লিকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে আবেদন করেন মৃত বোনের মুখটা শেষ বারের মতো দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। বিজিবি ক্যাম্প আবেদন পেয়ে বিএসএফকে লাশ দেখানোর ব্যবস্থা করার জন্য পত্র দেয়। উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সমন্বয়ে শনিবার দুপুরে শুন্য রেখায় স্বজনদের লাশ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ইউপি সদস্য সিবাস্তিন মল্লিক জানান আমি খবর পেয়ে মুজিবনগর বিজিবিকে জানালে তারা আমাকে আশ^স্ত করেন এবং চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ও বিএসএফ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বজনদের দেখানো সুব্যবস্থা কারাতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধন্যাবাদ।
সুকৃতি মন্ডলের ভাইয়ের ছেলে বলেন আমার পিসির মরদেহ দেখতে পাবো সেটা আমরা ভাবিনি পিসিকে শেষ বারের মত দেখতে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।
ভারতীয় নাগরিক জুম্মত শেখ বলেন এভাবে সুকৃতি মন্ডলকে তার আত্মীয় স্বজনদের দেখানো এটা খুবই ভালো একটা দিক এভাবেই দুই দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত হবে।
দুই দেশের সীমন্তবর্তী মানুষের সম্পর্ক উন্নয়ন, অপরাধ প্রবণতা কমাতে বিজিবি-বিএসএফ এর এ ধরণের মানবিক কার্যক্রম সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে নতুন বার্তা বয়ে আনবে বলেও জানান দুই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রামবাসী।