বরিশালের ‘কালা বাবু’র দাম ১৫ লাখ টাকা
ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভুতেরদিয়া বোয়ালিয়া এলাকায় নিজস্ব খামারে আমিনুল ইসলাম সিজান সিকদারের পরিচর্যায় বড় হওয়া একটি উন্নত জাতের ষাঁড় গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘কালা বাবু’।
কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করা কালা বাবুর ওজন প্রায় ৩২ মন। সাড়ে আট ফুট লম্বা ও সাত ফুট আট ইঞ্চি উচ্চতার কালা বাবুর দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। সাড়ে চার বছর পূর্বে শৌখিন খামারি আমিনুল ইসলাম সিজান সিকদার কালো রঙের ফ্রিজিয়ান প্রজাতির ষাঁড়টি জন্মের সাড়ে সাত মাস বয়সে তার ভাইয়ের কাছ থেকে ক্রয় করেন। কোন প্রকার ক্ষতিকর ও মোটাতাজা করন ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবারের মাধ্যমে লালন-পালন করা হয়েছে কালা বাবুকে। শান্ত প্রকৃতির ও গায়ের রং কালো হওয়ায় খামারি শখ করে ষাঁড়টির নাম রেখেছেন ‘কালা বাবু’।
ফার্মের দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের পরামর্শক্রমে ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবারের মাধ্যমে কালা বাবুকে বড় করেছি। এখন পর্যন্ত বাজারে ওঠানোর চিন্তা নেই। কালা বাবুকে কিনতে বাড়িতেই বিভিন্ন লোকজন আসছেন। বিভিন্নজনে বিভিন্ন দাম বলেও আমাদের চাহিদা ১৫ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, বর্তমান মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে বাজারে না নিয়ে বাড়িতে বসেই কালা বাবুকে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। কালা বাবু ছাড়াও আমাদের ফার্মে আরও নয়টি বড় জাতের ষাঁড় গরু রয়েছে।
সোমবার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মাওলা বলেন, উপজেলা পশু হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গরুর খামারে নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়ে পরামর্শ দিয়ে খামারিদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। পশু হাসপাতালের পরামর্শে কোন প্রকার ক্ষতিকর ও মোটাতাজা করন ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবারের মাধ্যমে লালন-পালনের মাধ্যমে কালা বাবুকে বড় করা হয়েছে।