প্রশাসন ও বঙ্গ বন্ধু পরিষদের নামভাঙ্গিয়ে ভৈরবের মাটি বিক্রি


মেহেরপুর সদর উপজেলার ফতেফুর গ্রামে প্রশাসন ও বঙ্গ বন্ধু পরিষদের নামভাঙ্গিয়ে ভৈরব নদের পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন ইউপি মেম্বার মিলন আহম্মেদ।
মাটিকাটা স্কেটারের মাধ্যমে প্রতিদিন ট্রলি ট্রলি মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে মিলন মেম্বার। মাটি কাটার বিষয়ে গ্রামবাসী বাধা দিলে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকী দিচ্ছেন তিনি।
গ্রাম বাসীর অভিযোগ বছর খানিক আগে ভৈরব নদ খনন করা হয়। খননের সময় ভৈরবের মাটি দিয়ে পাড় তৈরি করা হয়েছিল। এখন মিলন মেম্বার সেই পাড়রের মাটিগুলো কেটে রাতে আঁধারে বিক্রি করছে। মাটি কাটার ফলে পাড়ের ফসলি জমি, ফতেপুরের ব্রীজ ও একটি কালভাট ঝুকির মধ্যে পড়েছে। মাটি কাটার বিরুদ্ধে গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেও দমাতে পারছেনা মেম্বার মিলন আহমেদকে।
মিলন আহমেদের কাছে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান জেলা প্রশাসক ডঃ মুনছুর আলম খান এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ মেহেরপুর জেলা সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক সহ মৎস আফিসের পিডি ভবন থেকে তার মাটি কাটার অনুমতি নেওয়া আছে। তিন আরো বলেন আমি ভৈরব নদের নয় মরাগাং বিলের মাটি কাটছি কিন্তু মরাগাং জমির দাগ ভৈরবে চলে আসায় ভৈরবের মাটি কাটা পড়ছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক বলেন, ফতেপুর গ্রামের মাধ্যমকি বিদ্যালয়ের আমি আস্থায়ী ভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য কিছু মাটি প্রয়োজন। তাই আমরা জেলা প্রশাসনের সাথে নদির পাড়ের অতিরিক্ত মাটি বিদ্যালয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তবে তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এর বাইরে কেউ মাটি নিলে আমার জানা নেই। আর আমি কোন মিলন মেম্বার নামে কাউকে চিনিনা। আমি তার বিষয়ে খবর নিয়ে আমার নাম ভাঙ্গানোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
মেহেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম এধরনের মাটি খোরদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড, মনসুর আহম্মেদ বলেন, নদের পাড়ের মাটি কাটার অনুমোদন দেবার প্রশ্নই আসেনা। যদি কেউ মাটি কেটে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।