পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে মরতে বসেছে গাংনীর ছেউটিয়া নদী

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:23 PM, 13 July 2024

সিডিউল মোতাবেক খনন না করায় মরতে বসেছে মেহেরপুরের ছেউটিয়া নদী।এলাকাবাসীর অভিযোগ ১৩ থেকে ১৪ ফিট গভীর করার কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফেলতিতে খনন করা হয় মাত্র ৩-৪ ফিট নদী। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছেউটিয়া নদীর পূর্ণরূপ ফিরিয়ে দিতে ২০১৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার নদী খনন শুরু করে এস.আর.এস.ই (জেভি) নামের কুষ্টিয়ার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নদীর খননে সিডিউলে ১৩ থেকে ১৪ ফিট গভীর করার কথা থাকলেও মাত্র ৩ থেকে ৪ ফিট খনন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কয়েক বছরের ব্যবধানে নদী তার যৌবন ফিরে পায়নি। তাই আবারো মরতে বসেছে ছেউটিয়া। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা। নদীটি ৬০-৭০ মিটার চওড়া থাকলেও বর্তমানে নদীতে ২০-২৫মিটার দৈর্ঘ্য রয়েছে। এই নদীতে এক সময় অনেকেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো, নদী থেকে পানি উত্তোলন করা হতো বলেও জানান এলাকাবাসীরা।

তৌহিদুল ইসলাম নামের এক দিনমজুর জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগ নদী খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের একাধিকবার মৌখিক ভাবে বলার পরেও তারা কোন কর্ণপাত করেননি। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দিয়ে দেওয়া হয় হুমকি। নদীটি সঠিক ভাবে খনন না করাই সরকারের কোটি টাকার প্রকল্প কোন কাজেই আসেনি।

কটুইখালি গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, এক সময় এই নদীতে মাছ ধরে অনেকে তার বিবাহর নির্বাহ করতেন। কৃষকেরা মাঠ নদী থেকে পানি উত্তোলন করে চাষবাস কাজে ব্যবহার করতেন। যখন শুনলাম নদীর খনন করা হবে তখন আশার আলো দেখেছিলাম। কিন্তু পরে দেখা গেল সিডিউল মাফিক নদী খনন না করায় নদীর চওড়া অনেকাংশে কমে গেছে। এতে নদীর পাড়ের সাধারণ মানুষের জনজীবন অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা শহিদুল ইসলাম জানান, নদীতে প্রচুর পরিমাণে দেশি মাছ পাওয়া যেত। এখন নদীতে পানি নেই মাছও নেই। সরকার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নদী খননের ফলে কোন লাভ হয়নি বরং আরো ক্ষতি হয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ খুব দ্রুত নদী খনন করে আমাদের মাছ ধরার সুযোগ তৈরি করে দেবেন।

মেহেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান প্রধান জানান, ডিজাইন মাফিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন মাটি খনন করতে পারেনি এটি জানতে পেরেছিলাম। যতটুকু মাটি খনন করা হয়েছে ততোটুকের বিল প্রদান করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :