পানির নিচে ৫ শতাধিক বসতবাড়ি, ব্যাপক ক্ষতি ফসলের
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামে পানির নিচে প্রায় ৫ শতাধির বসতবাড়ি। ডুবে গেছে ধান, মরিচ, বাধাকপি, ফুলকপি সহ আগাম শীতকালীন সবজিসহ সকল ফসল।
স্থানীয়রা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম ধলাতে ব্যাপক পরিমানে পনি এসেছে। এতে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের মানুষ। পনি ডুকেছে ঘরের মধ্যে পানি। এছাড়া ব্যপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের।
ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা বলছেন, রান্না করে খেতে পারছি না। যেখানে রান্না করা হয় সেখানেও পানি থৈ থৈ করছে। চরম বিপাকে পড়েছে গবাদি পশু ও হাঁস মুরগীর নিয়েও। যেখানে গবাদি পশু রাখা হয় সেখানেও উঠে পড়েছে পানি। এমন তো অবস্থায় দিশেহারা হয়ে উঠছে ভুক্তভোগীদের জনজীবন।
এদিকে কৃষকেরা বলছেন, পেয়াজ, মরিচ, ধানসহ সকল ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে। এভাবে যদি আরো কিছু দিন পানির নিচে থাকে তাহলে সকল ধরনের আবাদি ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। আর এই সকল ফসল নষ্ট হয়ে গেলে চরম বিপাকে পড়তে হবে চাষিদের। এমত অবস্থায় সরকারি ভাবে সহোযোগীতা না পেলে স্থানীয় কৃষকেরা ফসল উৎপাদনে পিছিয়ে পড়বে।
ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শ করেছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা, গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেনসহ একটি পরিদর্শন দল।
তবে দুপুর ২টা বেজে গেলেও এখন পর্যন্ত গাংনী উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য কেউ আসেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন কালে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা সাময়ীক ভাবে পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও তিনি জানান স্থায়ী সমাধানের জন্য কালভাট বা সেতু নির্মান সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সরকারি ভাবে প্রণদনার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি