পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের খুঁটির জোর কোথায়,এদিকে গাংনীতে পাটবীজ অফিসের কোন অস্তিস্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:25 PM, 30 November 2020

(ফলোআপ)হেরপুরের গাংনীতে পাটবীজ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ অফিসের কোন অস্তিস্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। উপজেলা শহরের কোথাও পাটবীজ অফিসের কোন সাইন বোর্ড চোখে পড়েনি।সাইনবোর্ড ছাড়াই কিভাবে অফিস কাম আবাসিক অফিস দেখিয়ে সরকারী টাকা পকেটস্থ করছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে. তাহলে পাট উন্নয়ন কর্মকতা মেহেদী হাসানের খুঁটির জোর কোথায়?

স্থানীয়রা জানায়, মেহেদী হাসান নিজেকে বড় মাপের কর্মকতা পরিচয় দিয়ে যা খুশী তাই করেন। কখনও উপজেলার কোন গ্রামের পাট চাষীদের সাথে আলাপ আলোচনা বা পাট চাষে কাউকে উদ্বুদ্ধ করেন না।ঘরে বসেই সারাদিন বহিরাগত মেয়েদের নিয়ে খোশ গল্পে মেতে থাকেন।

বেতবাড়ীয়া গ্রামের পাট চাষী হাসান আলী জানান, আমরা কখনও পাট বীজ কর্মকতার্র চেহারা দেখিনি। কখনও গ্রামে এসে পাট চাষীদের নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন না। গাংনীতে কোথায় অফিস তাও জানিনা। একই কথা জানালেন সাহারবাটি গ্রামের পাট চাষী নজরুল ইসলাম।

উপজেলা কৃষি অফিসার কে এম শাহাবুদ্দীন আহমেদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিনার রাসেল রানা জানান, পাট বীজ কর্মকতা আমাদের সাথে কখনও পাট চাষ নিয়ে খোঁজখবর নেয়না। এবছর কত হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে তাও তিনি জানেন না।

অফিসে সাইন বোর্ড নেই কেন? এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে গাংনী পাট কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, বেশকিছু দিন যাবত সাইনবোর্ডটি নষ্ট হয়ে গেছে।আপাতত সাইনটি অফিসে নেই। আমি গাংনীতে প্রায় ১ বছরকাল দায়িত্ব পালন করছি। এর আগেও সাইনবোর্ড ছিল না। জানা গেছে, গাংনী উপজেলার কোন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা কোন গ্রামের লোকের সাথে আপনার পরিচয় হয়েছে ? আপনি ফিল্ড পর্যায়ে কি চাষীদের সাথে যোগাযোগ রাখেন ? এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি সব সময় যেতে পারিনা।

এদিকে সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানান, আমি কখনও গাংনী উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকতার্র অফিস দেখিনি।

এব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, পাটবীজ অফিসের সাইনবোর্ড নেই কেন? বিষয়টি নিয়ে কর্মকতার্র সাথে আলাপ করবো।

আপনার মতামত লিখুন :