ধর্ষণের জন্য দায়ী বর্তমান সমাজ

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:31 PM, 09 October 2020

ঘুম থেকে উঠেই শুনতে হচ্ছে নারী চিৎকার ছেড়ে দাও আমাকে যেতে দাও। ঠিক এমনটাই আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট। খবরের কাগজ, টেলিভিশন ও সোস্যাল মিডিয়া খুললেই চোখে পড়ছে ধর্ষণের চিত্র। ধর্ষণ ও আত্মহত্যা এখন বাংলাদেশের সকল নিউজ চ্যানেল বা খবরের কাগজের হেডলাইন। নিরাপত্তা খুজছে সমাজের মেয়েরা। তারা কোথায় নিরাপদ? আমার কাছে? না, আপনার কাছে? না, তবে কোথায় নিরাপদ আমার মা বোনেরা?

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সলিশ কেন্দ্র (আসক) এর হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো ৭৩২ জন ২০১৯ ধর্ষণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে তার সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ৪১৩ জন। তারই পরিপেক্ষিতে ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে প্রতিনিয়ত চলছে ধর্ষণ কেড়ে নিচ্ছে নারীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান ইজ্জৎ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ধর্ষণের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে অবস্থান করছে। এই দোষ কাকে দিবেন সরকারকে? আমি কিন্তু সম্পূর্ণ দ্বিমত।

বর্তমান সমাজের চিত্রটি একটু খতিয়ে দেখুন ধর্ষণ কেনো হচ্ছে। আমরা অনেকেই অনেক ধরণের দোষারোপ করেছি কেউ বলছি পোষাকের সমস্যা, কেউ বলছি চোখের দোষ। আমি তাদের বলবো আদিম সভ্যতায় কিন্তু নারী পুরুষ উভয়ের পোশাক ছিলো না তখন কি ধর্ষণ হয়েছে? না। ধর্ষণ উচ্ছেদে আমি আপনি এগিয়ে আসলে তা উচ্ছেদ সম্ভব নয় অথবা ফেসবুকে পোস্ট ইত্যাদি দিয়েও বিন্দুমাত্র লাভ হবে না। এগিয়ে আসতে হবে সমাজের প্রতিটি মানুষকে।

ধর্ষণের উৎপত্তি যেহেতু মানুষের মাধ্যমেই তাই মানুষই পারবে তা নির্মূল করতে। বর্তমানে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে যে মিলন সংঘটিত হচ্ছে সেটা কি ধর্ষণের বাহিরে একটু ভেবে দেখুন। প্রেমিক-প্রেমিকা সেক্স করলে সেটা রুম ডেটিং হয় আর তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর জোরপূর্বক সেক্স করলে সেটা ধর্ষণ হয়ে যায়। সমাজের চিত্রটা এতোটাই পচে গিয়েছে যে পাবলিক প্লেসেও প্রেমিকাকে জড়িয়ে ধরতে ইতস্তত বোধ করে না। এগুলোই সমাজের বড় ধর্ষক এসকল অপকর্মের বিরুদ্ধে যতোদিন না ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ততোদিন চলতে থাকবে এই ধর্ষণের খেলা।

লেখক
মামুন অর রশিদ বিজন
প্রধান সমন্বয়ক
কাম ফর হিউম্যানিটি-সিএফএইচ

আপনার মতামত লিখুন :