দুই বছর আগেই গোপনে বিয়ে করেছেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী!
রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তার নিজ বাড়ি নেত্রকোণা থেকে আটক করেছে র্যাব।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে নেত্রকোণা থেকে আটক করে ময়মনসিংহে নিয়ে আসা হয় তাকে। বিকেলে গাজীপুরের গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ওই মামলা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে র্যাবের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।
এর আগে গেলো ২৫ মার্চ আটক করা হয়েছিল মাদানীকে। মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় আটক করা হয়েছিল তাকে। তবে আটকের কয়েক ঘণ্টা পরই আবার ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।
এদিকে সূত্রের বরাত জানা গেছে, গেলো মঙ্গলবার ময়মনসিংহ ফুলপুরের রহিমগঞ্জে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। মেয়ের নাম আসমা আক্তার। পাত্রীর বাবা-মা’র পছন্দ হয়নি মাদানীকে। অবাক করার তথ্য হলো, ২০১৯ সালের শেষ দিকে হালুয়াঘাটের ওই মেয়েকেই গোপনে বিয়ে করেছেন মাদানী। আসমা তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন আক্তারের চাচাতো বোন। আর সেই গোপন বিয়ের অন্যতম একজন সাক্ষী পারভীন। তবে আসমা-মাদানীর গোপন এই বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি হয়নি।
আসমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের জন্য দেখতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আসমাকে লিখেছেন, প্রয়োজনে ১০ বছর অপেক্ষা করবেন। তারপরও তাকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করবেন তিনি (মাদানী)।
রফিকুল ইসলাম মাদানীরা পাঁচ ভাই। মাদানী সবার ছোট। তার বাবা মৃত শাহাবুদ্দিন। মাদানী নেত্রকোণার মালনী এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে ঢাকায় চলে আসেন। সেখানে লেখাপড়া করার সময় ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে আলোচিত হন।
সূত্রঃআর টিভি নিউজ।