তামাক কোম্পানীর ম্যানেজারের সেচ্ছাচারিতা। তামাকের বেলে আগুন দিয়ে প্রতবাদ
মেহেরপুর ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানির ম্যানেজার হাসিবুর রহমান সহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওজনে কম ও তামাকের নায্য মূল্যে না দেয়া এবং তামাক ক্রয়ে অনিয়ম,সেচ্ছাচারিতার কারনে পথে বসেছে তামাক চাষীরা।
এছাড়া কতিপয় তামাক ব্যবসায়ীদের সাথে গোপনে আতাত করে নিম্নমানের তামাক উচ্চমুল্যে ক্রয় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানির ম্যানেজার হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।
ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানির ম্যানেজার হাসিবুর রহমানের কবল থেকে চাষীদের রক্ষা করা না গেলে এই অঞ্চলে তামাক চাষ কমে আসবে বলে জানান চাষীরা। ন্যায্য মূল্যে না পাওয়া সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তামাকচাষীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে তামাকের বেলে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানির ম্যানেজার হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্থ তামাক চাষীরা।
তামাক চাষীরা জানিয়েছেন, ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানির ম্যানেজার হাসিবুর রহমান,এরিয়া ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, এফটি মোজাম্মেল হক ও তুহিন হোসেন মেহেরপুর জেলার চুক্তিবদ্ধ চাষীদের তামাক ক্রয় বন্ধ রেখে কুষ্টিয়া জেলার কাতলামারীর এলাকার জনৈক্য এক তামাক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে গোপনে নিম্নমানের তামাক উচ্চমুল্যে তামাক ক্রয় করছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের তামাকচাষী মানিক হোসেন বলেন,ইতোপূর্বে তামাক চাষকরে লাভবান হলেও ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানির নতুন ম্যানেজার হাসিবুর রহমান সহ কয়েকজন কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে ক্রমাগত চাষীরা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
চাষীদের ন্যয্যমুল্যে না দিয়ে বড়বড় ব্যবসীয়দের সাথে আতাত করে নিম্নমানের তামাক ক্রয় করছে। এছাড়া চাষীদের তামাকের নায্য মূল্যে দিচ্ছেনা। ওজনে প্রতিবেলে ৪/৫ কেজি পর্যন্ত কম দেখানো হচ্ছে। এসবের প্রতিবাদ করলেই চাষীদের তামাক না নিয়ে হয়রানী করছে। রাগে ক্ষোভে দু:খে তামাকের বেলে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন,আমার ৪০ বেল তামাক আছে। ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানির নতুন ম্যানেজার হাসিবুর রহমান সহ কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তামাক নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন। পুড়িয়ে ফেলা ছাড়া আমার কিছু করার নেই। তামাক চাষীদের সাথে কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্রতারণা করছে।
একই গ্রামের তামাক চাষী আনারুল ইসলাম জানান,আমি ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির তামাক চাষী। ৬ বিঘা জমিতে চামাক চাষ করেছি। আমার ৩০ বেল তামাক আছে কোম্পানির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী তামাক নেওয়া হয়ে গেছে।
একই এলাকার তামাক চাষী হামিদুল ইসলাম বলেন, ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির লোকজন নানা প্রলোভন দেখিয়ে তামাক চাষ করান। জীবনে ঝুকি নিয়ে তামাক চাষ করে এখন তামাকে নায্য মূল্যে দিচ্ছেনা। এমনকি তামাক ক্রয় করছেনা কর্তৃপক্ষ।
কৃষকরা আরও বলেন, ম্যানেজার হাসিবুর রহমান ও এরিয়া ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম গড়ে তুলেছেন ধরনের সিন্ডিকেট। আর সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে দিয়ে নিদৃষ্ট ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নিম্নমানের তামাক ক্রয় করে কোম্পানীর টাকা লুটপাট করছে। আর দালাল চক্র আর কোম্পানীর কয়েক কর্মকর্তার ফাঁদে পড়ে অনেক তামাক চাষীকেই সর্বশান্ত করেছে।
গাংনী উপজেলা ধলা এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন,কোম্পানি থেকে ঋণ নেওয়া টাকার পরিমান মত টাকার তামাক ক্রয় করছে। টাকা পরিশোধ হওয়ার পর আর কোন তামাক কিনছেনা। এতে পথে বসেছে চাষীরা।
ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো কোম্পানির ম্যানেজার হাসিবুর রহমানের ব্যহৃত মোবাইল ( শেষ নং ৪৩২) ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি (রিসিভ করেনি) ধরেনি।