ড‍্যান্ডি নামক নেশার জালে আটকে যাচ্ছে,মেহেরপুরের কোমলমতি শিশু-কিশোর

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:04 AM, 26 October 2020

‘ড্যান্ডি’ নামক এক ধরণের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে মেহেরপুরের কতিপয় শিশুরা কিশোররা।

মেহেরপুর নতুন বাস টার্মিনাল, পুরাতন বাসষ্ট‍্যান্ড ও আশেপাশের বাগানে বসে ড্যান্ডি সেবন করে এসব শিশুরা। জুতা কিংবা ফোমে ব্যবহৃত সলিউশন (আঠা) পলিথিনে ভরে কিছুক্ষণ পরপর মুখের সামনে নিয়ে শ্বাস টেনে নেশা করতে দেখা যায় এসব শিশু কিশোরদের।

এছাড়া উপরোক্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকতে দেখা গেছে ব‍্যবহৃত আঠা ও পলিথিন। জুতার আঠা নিষিদ্ধ কোনো বস্তু না হওয়ায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে এই আঠা আবার এ ব‍্যপারে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না প্রশাসন।

কিছু কান্ডজ্ঞানহীন অসাধু ব‍্যবসায়ী সহজেই মরণঘাতি আঠা বিক্রি করছে নিষ্পাপ শিশু কিশোরদের হাতে। সাধারণত সহজ প্রাপ্যতা, সহজ লভ্যতা ও আইনত নিষিদ্ধ পদার্থ হিসেবে স্বীকৃত না হওয়ায় এই প্রকার নেশায় কোমলমতী শিশু কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে। আবার কেউ কেউ অভিভাবকদেরও দায়ী করেছেন অনেকেই।

এখনিই এই নেশার লাগাম টেনে না ধরলে অকালেই ঝরে যেতে পারে কোমলমতি শিশু কিশোরদের তাঁজা প্রাণ। হার্ডওয়ারের দোকানসমূহে এই প্রকার নেশা তথা গ্লু গাম আটা সহজলভ্য। এই প্রকার গামের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্র্যান্ড হল- ডায়ামন্ডনাল, ফ্রেশ প্রভৃতি।

শিশুদের কাছে যেন এটি বিক্রি করা না হয় সেজন্য ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন সুশীল সমাজ। সরেজমিন মেহেরপুর নতুন বাস টার্মিনালের বিভিন্ন বাসের ভিতর, টার্মিনাল ভবনের কক্ষে, পুরাতন বাসষ্ট‍্যান্ডের পাশের আম বাগানের নব নির্মিত ভবন, প্রাচীরে ঘেরা জায়গায় কয়েকজন শিশুদের এ নেশা করতে দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩০ থেকে ৪০ টাকায় একধরনের জুতার গাম কেনে শিশুরা।

শহরের প্রায় সব এলাকার দোকানেই এসব জুতার আঠা পাওয়া যায়। পলিথিনের ব্যাগে আঠাল ওই পদার্থ নিয়ে কিছুক্ষণ ঝাঁকানো হয়। তারপর পলিথিন থেকে নাক বা মুখ দিয়ে বাতাস টেনে নেয়। এই নেশা ড্যান্ডি,ঝাকানাকা, আঠা নামেই পরিচিত।

আপনার মতামত লিখুন :