ঝিনাইদহে ক্লিনিক ও ল্যাব লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই চলছে শিরোনামে প্রতিবেদন। তদন্ত করতে আদালতের আদেশ জারি
ঝিনাইদহে ১৬৯ ক্লিনিক ও ল্যাব লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই ছলছে শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশতি হওয়ার পর স্বপ্রণোদিত আদেশ জারি করেছে আদালত। গত ২৫ নভেম্বর বুধবার ঝিনাইদহ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ জারি করেন।
আদেশে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ (১) (সি) ধারার বিধান মোতাবেক ডিবিসি নিউজে বিগত ২৩.০৮.২০২০ ইং তারিখে প্রকাশিত ঝিনাইদহে ১৬৯ ক্লিনিক ও ল্যাব লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই ছলছে শিরোনামে সংবাদটি আমলে নেয়া হলো। আদেশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঝিনাইদহ সার্কেল তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকালে যাবতীয় তথ্য ও দালিলিক সাক্ষ্য প্রমান সরবরাহ করতে সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আগামি ২৪/১২/২০ ইং তারিখে প্রতিবেদন প্রাপ্তির জন্য ধার্য করা হলো।
আদেশে আরো বলা হয়েছে,উল্লিখিত সংবাদ অনুযায়ী ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বিভিন্ন ক্লিনিকগুলোতে মালিক পক্ষের লোকজনের চিকিৎসক-নার্স সেজে ভুল চিকিৎসা দেন মর্মে অভিযোগ আছে। উল্লেখিত সংবাদ সত্য হলে তাতে যেমন বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২২ও২৮ ধারায় বর্ণিত অপরাধের অস্তিত্ব রয়েছে তেমনি তা ঝিনাইদহ সদর উপজেলাবাসীর আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল মর্মে প্রতীয়মান হয়। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের আবশ্যকতা রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিম্নোক্ত নির্দেশনা অনুসরণ করবেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবিসি নিউজ,দৈনিক নবচিত্র এবং দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিবেদকের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন,ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র প্রস্তুুত এবং সাক্ষীদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করবেন।
ঘটনাস্থলের স্থিরচিত্র ধারণপূর্বক প্রিন্ট করে ডকেটের সাথে সংযুক্ত ও আলামত প্রাপ্ত হলে জব্দ ও কোন ক্লিনিকের অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার কারণে কোনো রোগী মারা গেলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা সহ যতদূর সম্ভব ভুক্তভোগী রোগী তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞাত ব্যাক্তিদের সাক্ষী হিসেবে নির্বাচন করার নির্দেশনা দিয়েছেন।