ঝালকাঠির রাজাপুরে বাল্যবিবাহের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরিমানা
হাওলাদার বেলালঃবাল্যবিবাহ আইন ২০১৭ (৮) ধারা অনুযায়ী ২০,০০০ (বিশ) হাজার টাকা জরিমানা করেছেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান। জানাগেছে,
আজ ৭ অক্টোবর শুক্রবার ঝালকাঠি র রাজাপুর উপজেলা চল্লিশ কাহনিয়া নিবাসী বাদশা মিয়ার নাতনী মোঃ ফারুক হোসেনের কন্যা জিনিয়া (১৩) কে বড়ইয়া ইউনিয়নের আদাখোলা গ্রাম নিবাসী মৃত আলী মোহাম্মদের ছেলে (২৫) এর সাথে বাল্যবিবাহ প্রদানকালে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা নুসরাত জাহান ততক্ষনিক এসে এ ঘটনার সত্যতা পেয়ে বাল্যবিবাহ আইন ২০১৭( ৮)ধারা অনুযায়ী ২০,০০০(বিশ) হাজার টাকা জরিমানা করেন৷
জানাগেছে, জিনিয়া রাজাপুর উপজেলাধীন চল্লিশ কাহনিয়া উত্তমপুর দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
আরো জানাগেছে, কিছু দিন আগে ঝালকাঠি জেলা ম্যাজিস্টেট কোর্টে জিনিয়া ও শাহজালালের বিবাহ হয়।
৭ অক্টোবর জিনিয়ার শ্বশুর বাড়ি থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে বরযাত্রী আসলে এলাকার একটি মহল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দিলে তিনি সাথে সাথে চলে আসেন।
এসেই ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে এ জরিমানা করা হয়েছে।
এসম মেয়ের বাবা মোঃ ফারুক হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান জানান, সরকার বাল্যবিবাহ আইন কঠিন করেছেন। মূলত একটি মেয়ের ১৩ বছরে তার শরীরে পরিপক্বতা আসেনা। এছাড়াও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন আছে জেনেও যারা এ কাজের সাথে জড়িত তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা। তাই আমি এবং আমার ফোর্স নিয়ে চল্লিশ কাহনিয়া বাদশা মিয়ার বাড়ি একটি বাল্যবিবাহ হচ্ছে এ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসি এবং বাল্যবিবাহ আইন ২০১৭(৮) ধারা অনুযায়ী ২০,০০০(বিশ)হাজার টাকা জরিমানা করি।
বড়ইয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য মাইনুল ইসলাম কবির জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান জিনিয়াকে আমার কাছে হস্তান্তর করেন। জিনিয়ার ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত আমার জিম্মায় থাকবে এবং এ ধরণের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ও পরামর্শ প্রধান করেন নুসরাত জাহান খান।
এলাকাবাসী জানান, জিনিয়ার নানা বাদশা এবং জিনিয়ার মা এই বাল্যবিবাহের মূলহোতা।
এ সময় জিনিয়ার বাবা ফারুককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।