জনগনের পাশে থেকে তাদের সেবা করেই শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করতে চাই—– মিজানুর রহমান রানা
জনগণের পাশে থেকে তাদের সেবা করেই বাকি জীবন কাটাতে চায় বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত দু-দুবারের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং কাথলী ইউনিয়ন বাসীর জীবনমান উন্নয়ন করে চলেছেন। তিনি কাথুলী ইউনিয়নের গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের হাজী মোঃ আমিনুল ইসলামের ছেলে এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক।
তার বাবাও ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত পরপর দু’বার চেয়ারম্যান হিসেবে একই ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্বর্ণোজ্জ্বল রাজনৈতিক জীবনবাহী এই চেয়ারম্যানের শিক্ষা জীবনেও রয়েছে অসামান্য কৃতিত্ব। তিনি ১৯৯২ সালে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৯৫ সালে মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৯৭ সালে গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি তার রাজনৈতিক জীবনও প্রশংসার দাবী রাখে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শে আদর্শিত হয়ে ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একজন সৈনিক হতে চেয়েছেন তিনি। ১৯৯২ সালে মেহেরপুর সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ প্যানেলের ছাত্র সংসদের সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সাল থেকে অদ্যবধী মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ইতো মধ্যেই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন দু-দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা। তার দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, সরকারী বিভিন্ন উন্নয়ন সহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরকারি সহযোগিতা বাদেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানবতার কল্যাণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের কাছের মানুষ মিজানুর রহমান রানা।
ছোটবেলা থেকেই তার বাবার কাছ থেকে মানবকল্যাণ দেখে এসেছেন এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে উঠাবসা ছিল তার। ছোটবেলা থেকেই গরীব, দুঃখী ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের দুঃখ কষ্ট তাকে পিড়া দিত। সব সময় চেষ্টা করেছেন ওই সকল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।
ইউনিয়নবাসী জানান, মিজানুর রহমান রানা একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার বাবাও এই পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিও দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আমাদের পাশে থাকেন বলেই বারবার আমরা তাকে ভালবেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করি। আগামীতেও আমরা তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায়।
চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছ থেকে মানব সেবা দেখে এসেছি। মৃত্যু পর্যন্ত বাবার দেখানো মানব সেবার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের একজন যোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন সহযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।
ইউনিয়ন বাসী যদি চায় এবং আমাকে যদি আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয় তাহলে কাথুলী ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরও বলেন আমি জনগণের পাশে আছি এবং জনগণও আমার পাশে থেকে কাথুলী ইউনিয়নের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।