ছোট গায়ে বড় আঘাত, সিভিল সার্জনের বিশেষ উদ্যোগ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যেন আঁচড়ে পড়েছে। চলতি মাসেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০ জন।
এছাড়াও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ১১ জন। মৌসুমি রোগ ভেবে গুরুত্ব না দেওয়ায় পরিনাম হয়েছে ভয়াবহ। ধানখোলা ইউনিয়নের এই গ্রামে প্রায় ১৭ হাজার মানুষের বসবাস।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি ঘরেই জ্বর,সর্দি-কাশি নিয়ে ভুগছে মানুষ। সমাজের চোখে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে অনেকেই করোনা টেষ্ট করাতে অনাগ্রাহ দেখাচ্ছে। গাড়াডোব গ্রামের পানছুরা খাতুন, জ্বর নিয়ে এসেছেন মুদি দোকানে বাজার করতে।
করোনার টেষ্ট করেছেন কিনা জানতে চাইলে সোজা-সাপটা উত্তর দিলেন, পরীক্ষা করে কি গ্রাম থেকে একঘরে হবো, আমি অতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারবো না। পরিবারের কয়জনের জ্বর, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলেরও জ্বর, সেও গিয়েছে মাঠে পাট কাটতে।
একই গ্রামের হাসান নামের মুদি ব্যবসায়ী জানান, গ্রামের মূল সড়কের পাশে থাকা কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রামের হাতুড়ি ডাক্তারের দেওয়া ওষুধেই চলছে গ্রামবাসীর চিকিৎসা।
এমন পরিস্থিতিতে গত বুধবার (২৮ জুলাই) গ্রামটিতে পরিদর্শনে যান সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। এছাড়াও গ্রামটিতে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিককে নির্দেশ দেন কর্মকর্তারা।
এসময় সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, এলাকার মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে থেকে তারা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। মনে হচ্ছে গাড়াডোব গ্রামে করোনার বড় প্রকোপ চলছে। প্রায় ঘরেই করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে গ্রামবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারনা চালানো হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি গণটিকা কার্যক্রম চালু করতে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গাড়াডোব গ্রামের মতই পরিস্থিতি ভয়াবহর দিকে যাচ্ছে সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রাম। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে মুজিবনগরের আনন্দবাস ও গাংনীর তেতুলবাড়িয়া গ্রামও। শুধু তাই ই না, করোনার বড় প্রকোপ দেখা দিয়েছে পুরো জেলা জুড়েই। জেলা সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি চলতি মাসেই করেনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। বর্তমানে জেলা মোট পজিটিভ ৩ হাজার ৭শ ৩৬ জন।আরও ১১ জন। মৌসুমি রোগ ভেবে গুরুত্ব না দেওয়ায় পরিনাম হয়েছে ভয়াবহ। ধানখোলা ইউনিয়নের এই গ্রামে প্রায় ১৭ হাজার মানুষের বসবাস।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি ঘরেই জ্বর,সর্দি-কাশি নিয়ে ভুগছে মানুষ। সমাজের চোখে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে অনেকেই করোনা টেষ্ট করাতে অনাগ্রাহ দেখাচ্ছে। গাড়াডোব গ্রামের পানছুরা খাতুন, জ্বর নিয়ে এসেছেন মুদি দোকানে বাজার করতে।
করোনার টেষ্ট করেছেন কিনা জানতে চাইলে সোজা-সাপটা উত্তর দিলেন, পরীক্ষা করে কি গ্রাম থেকে একঘরে হবো, আমি অতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারবো না। পরিবারের কয়জনের জ্বর, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলেরও জ্বর, সেও গিয়েছে মাঠে পাট কাটতে।
একই গ্রামের হাসান নামের মুদি ব্যবসায়ী জানান, গ্রামের মূল সড়কের পাশে থাকা কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রামের হাতুড়ি ডাক্তারের দেওয়া ওষুধেই চলছে গ্রামবাসীর চিকিৎসা।
এমন পরিস্থিতিতে গত বুধবার (২৮ জুলাই) গ্রামটিতে পরিদর্শনে যান সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। এছাড়াও গ্রামটিতে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিককে নির্দেশ দেন কর্মকর্তারা।
এসময় সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, এলাকার মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে থেকে তারা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। মনে হচ্ছে গাড়াডোব গ্রামে করোনার বড় প্রকোপ চলছে। প্রায় ঘরেই করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে গ্রামবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারনা চালানো হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি গণটিকা কার্যক্রম চালু করতে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গাড়াডোব গ্রামের মতই পরিস্থিতি ভয়াবহর দিকে যাচ্ছে সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রাম। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে মুজিবনগরের আনন্দবাস ও গাংনীর তেতুলবাড়িয়া গ্রামও। শুধু তাই ই না, করোনার বড় প্রকোপ দেখা দিয়েছে পুরো জেলা জুড়েই। জেলা সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি চলতি মাসেই করেনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। বর্তমানে জেলা মোট পজিটিভ ৩ হাজার ৭শ ৩৬ জন।