চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আবারও বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের পর বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী রবিরুল (৪৫) নিহত হয়েছেন। বুধবার দিনগত রাত ১২ টার সময় ঠাকুরপুর সীমান্তের ভারতের এ ঘটনাটি ঘটে। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হলো এই বাংলাদেশী।নিহত রবিউল পীরপুরকুল্লা গ্রামের মরহুম মইতুল্লার ছেলে।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রবিরুলসহ ৩-৪ জন ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে সেখানকার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রাম থেকে গরু আনতে যায়। ওই দিনই রাত ১২টার দিকে গরু নিয়ে ফেরার সময় ঠাকুরপুর সীমান্তের ৮৮/ ৯২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে পৌঁছুলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের টহল দল তাদেরকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রবিরুল। এ সময় তার অপর সহযোগীরা পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করে সীমান্ত অতিক্রম করে চলে আসে। নিহত রবিরুল মরদেহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর মহাকুমা হাসপাতালে রাখা আছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, পীরপুরকুল্লা গ্রামের রবিরুল নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে বলে তিনি জেনেছেন।
ভারতীয় একটি সূত্রে জানা যায়, বৃহ¯পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর মহাকুমা হাসপাতালে বিএসএফ সদস্য আনন্দ সিং চৌহান নিহত রবিউলের মরদেহ সেখানে আনে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, ঠাকুরপুর সীমান্তে বাংলাদেশীকে গুলি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আমরা ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করেছি। বিএসএফর কাছ থেকে জানার পর আমরা নিশ্চিত হতে পারবো।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন মিজানুর রহমান নামে এক বাংলাদেশী। এক সপ্তাহ পর তার লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।