ঘাতকরা চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল…….জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:21 PM, 03 November 2023

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হারানোর শোকে জাতি যখন মুহ্যমান তখনই আবার আঘাত আসে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ভোরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা বঙ্গবন্ধুর সহচর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে ঘাতক চক্র। সেদিন কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আজ আজ শুক্রবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অবুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি
ফরাদ হোসেন বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশমাতৃকার সেরা সন্তান জাতীয় এই চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
তিনি আরো বলেন, জেল হত্যার পরদিন তৎকালীন উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তবে দীর্ঘ ২১ বছর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার জেল হত্যা মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে। এরপর দীর্ঘ আট বছরের বেশি সময় বিচারকাজ চলার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করে। রায়ে ২০ আসামির মধ্যে ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তার শাস্তি এবং অন্য পাঁচ জনকে খালাস দেওয়া হয় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে। অনুষ্ঠানের সভাপতি বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। আলোচনা সভা শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মুমিনুল
ইসলাম মমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম সোবহান, শ্যামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান মতিন,আমদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কাজী শহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবলু বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম শাহিনসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা।

আপনার মতামত লিখুন :