পুলিশি তদন্তের নির্দেশ আদালতের গাংনীতে গ্রাম্য সলিশে জরিমানা আদায়
দোলাভাইয়ের সাথে শালিকার পরোকীয়ার ঘটনায় দুলাভাইয়ের গ্রাম্য সালিশের দেড়লাখ টাকা জরিমানা করেছেন স্থানীয় মাতব্বর ও ইউপি সদস্যরা। আর ওই জরিমানার টাকা দেয়া হয়েছে শশুরকে। ঘটনাটি ঘটেছে গত (১৩ মে)শুক্রবার বিকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের। এ ঘটনাটি বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ পাবার পর সালিশ কারিদের বিরুদ্ধে রোববার বিষয়টি পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেহেরপুর আমলী আদালত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিন দশেক আগে গাংনীর বেতবাড়িয়া গ্রামের জাফর মোল্লার ছেলে শাহাবুল মোল্লার সাথে পরোকীয়ার জের ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তার শালিকা। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান ও ফুলচঁাদ শালি দুলাভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বসে গ্রাম্য সালিশি। এতে দেড়লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। ওই টাকা দেয়া হয় শাহাবুলের শশুর কাজিপুর গ্রামের মজিবর রহমানকে।
ইউপি সদস্য ফুলচাদ জানান,শাহাবুল ইসলাম আমার ভাইয়ের জামাই। তাকে ভয় দেখানোর জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে দেড়লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নগদ ৫০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে এবং এক মাসের মধ্যে এক লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে। যেহেতু আমরা তাকে ভয় দেখিয়েছি তাই পরে শাহাবুলকে টাকা ফেরত দেয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্কুল শিক্ষক জানান, ওই গ্রাম্য সালিশে তিনি উপস্থিত ছিলেন। দু’পক্ষের মধ্যে টাকা পয়সা দিয়ে মীমাংসা চলছিল। জামাতা শাহাবুলকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে ইউপি সদস্যরা জোরপূর্বক এমন জরিমানা আদায় করেছেন যা আমাদের কাম্য ছিলনা।
এদিকে বিষয়টি সোস্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত হলে মেহেরপুর আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ’র নজরে এলে তিনি স্বপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি আমলে নিয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি মোবাইল ফোনে তদন্তের একটি কপি পেয়েছেন। মূল কপি পেলেই তদন্ত শুরু করবেন।