গাছ লাগান ইটভাটা বাঁচান, মাটি বিক্রয় করে ইট কিনুন

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:43 AM, 17 February 2021

যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন গাছ কাটলে তিনটি গাছ লাগাতে হবে তার ধারাবাহিকতায় মুজিব শতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে বাংলাদেশকে।

মেহেরপুর জেলার প্রায় প্রতিটি ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায় কাজ দিয়ে চলছে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম। অধিকাংশ ইটভাটায় নেই পরিবেশের ছাড়পত্র। পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকার অভিযোগে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গত (১৯জানুয়ারি) ১০টা ইটভাটাকে ৬৫লক্ষ টাকা জরিমানা করেও থেমে নেই তাদের অবৈধ কাঠ পোড়ানো।

কসবা গ্রামের রাকিবুল ইসলাম জানান, ইটভাটায় বিভিন্ন ট্রলি ও লাটাহাম্বার মাধ্যমে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাতে রাস্তায় পড়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বেশ কিছুদিন আগে কুয়াশা শিশিরে রাস্তা ইটভাটার মাটিতে পিচ্ছিল হয়ে ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

বামন্দী ছাতিয়ান গ্রামের আলী হোসেন জানান, আমার বাড়ির সামনে দিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে ৩০ থেকে ৩০ টা ট্রাক বিভিন্ন ইটভাটায় প্রতিনিয়ত কার্ড নিয়ে যাচ্ছে। কয়েক বছর আগেও আমার বাসার সামনে একটি কাঠ বোঝাই ট্রাক উল্টে একজনের বসতবাড়ি ভেঙে দেয়। এখন পর্যন্ত সেই বাড়ির মালিককে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ দেয়নি ট্রাক মালিক বা ইটভাটা মালিক কর্তৃপক্ষ।

চর গোয়াল গ্রামের তরিকুল ইসলাম জানান, এই ইটভাটায় আমার গ্রাম থেকে প্রায় প্রতিদিনই ২৫০-৩০০ ট্রলি ও লাটাহাম্বা মাটি নিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে। তিনি আরো বলেন, এই অসাধু ব্যবসায়ীরা একটি জমি কিনে মাটি খনন করে জমির দামের থেকে তিনগুণ টাকা দিয়ে এই মাটি বিক্রি করে আবাদি জমি গুলো নষ্ট করে ফেলছে।

নাম প্রকাশ করা যাবে না এমন শর্তে একজন ইটভাটা ব্যবসায়ী জানান, বিভিন্ন প্রোগ্রামের নাম করে প্রশাসনের লোকজন এসে আমাদের কাছে চাঁদা নিয়ে যায়।

ইটভাটার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান আতু জানান, আপনারা কি আবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। আর ইটভাটায় কাঠ  ছাড়া আবার পুড়াবো কি।

গাংনী ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

উল্লেখ্যঃ মেহেরপুর জেলায়  প্রতিটি ভাটায় কয়লার বিকল্প হিসেবে কাঠ কে ব্যবহার করা হচ্ছে একদিকে যেমন পরিবেশের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অক্সিজেন হারিয়ে যাচ্ছে এর ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার  নির্দেশ মোতাবেক আসুন আমরা বাড়ির আশেপাশে থাকা আঙিনায় গাছের চারা রোপন করে বাংলাদেশ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড দূর করে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দিই।

আপনার মতামত লিখুন :