গাংনী পৌর নির্বাচন: মনোনয়ন পেতে ১১ প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ
আসন্ন গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ- বিএনপিসহ ১১ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় দেশের ৬১টি পৌরসভার মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বুধবার (২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন দ্বিতীয় দফার পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
তবে তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতার বাইরের দল বিএনপির বেশ কিছু সম্ভাব্য প্রার্থী গাংনীর মাঠ অবিরামভাবে চষে বেড়াচ্ছেন। দলীয় প্রতীক পেতে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের অবিরত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লবিং-তদবির অব্যাহত রেখেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গাংনী পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা আহম্মেদ আলী, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সহ-সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র নবীর উদ্দিন, গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু এবং সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাহিদুজ্জামান শিপু আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে বেশ আগেই জানান দিয়েছেন।
অন্যদিকে প্রার্থীতা নিয়ে আলোচনা থাকলেও নিজের ফেইসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রার্থী হিসেবে দোয়া চেয়েছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেকের ছেলে মাসুম বিল্লা অভি এবং মেহেরপুর জেলা পরিষদের সদস্যা, গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের সহধর্মিণী শাহানা ইসলাম শান্তনা। ফলে তাঁরাও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী মোট আটজন।
সম্ভাব্য এই আটজন প্রার্থীকেই শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আওয়াজ দিচ্ছেন তাঁদের কর্মী সমর্থকেরা। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জানা যাবে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। তবে এসব পাশ কাটিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কাকে দলীয় প্রার্থী মনোনীত করবে আর কেন্দ্র কাকেই বা দলীয় প্রতীক দেবে তা নিয়ে চলছে বিস্তর জল্পনা- কল্পনা।
অপরদিকে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে গাংনী উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু,গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা এবং পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ইনসারুল হক ইন্সুর নাম শোনা যাচ্ছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে ,২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে। আর ইন্সু তাঁর করুণ পরাজয়ের জন্য নিজ দলের নেতা-কর্মীদের বেঈমানীকে দায়ী করেন। তবে আওয়ামী লীগের নৌকার কাণ্ডারী কে হচ্ছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক সূত্র জানিয়েছে, মাঠের অবস্থা বিবেচনা, গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে এবার নৌকা প্রতীক পাবেন যোগ্য প্রার্থী।