গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র অভিষেক অনুষ্ঠান
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো: আবুল কাসেম বলেন, শিক্ষকদের শতভাগ বিভাগীয় পদন্নোতিসহ প্রধান শিক্ষকদের নবম এবং সহকারি শিক্ষকদের দশম গ্রেডের দাবি শিক্ষক সমাজের। এই দাবির বাস্তবতা বিবেচনা করে সরকার শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে বলে শিক্ষক সমাজের প্রত্যাশা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির গাংনী উপজেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নবনির্বাচিত ”গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি” উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মো: সাহাব উদ্দীনের (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অভিষেক অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সিনিয়র সহসভাপতি মো: লিয়াকত আলী খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুল করিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান গগন, মো: কামরুজ্জামান চৌধুরী লিটন, বরিশাল বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মিডিয়া সম্পাদক সালমান আজিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান।
বেতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রোকনুজ্জামান পলাশ ও হাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোছা: লাবনী খাতুনের উপস্থাপনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান বকুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, এবাদতখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গাংনী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি কাওছার আলী, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মেহেরপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মীর সাদিক ওয়াহিদ নিয়ন ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভিষেক অনুষ্ঠানের সভাপতি সাহাব উদ্দীন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধিকার, সম্মান ও মর্যাদা আদায়ের লক্ষে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি আরও বলেন, বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো যায়না। আমরা সেই অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছি। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি নেতৃত্ব তৈরীর কারখানা। এখানে নতুন নতুন নেতৃত্ব তৈরী করা হয়। একটি মহল অবৈধ সুবিধা আদায়ের লক্ষ্য বিভ্রান্ত ও অপপ্রচার চালিয়ে অনেকগুলো সমিতি তৈরী করেছেন। এগুলো থেকে শিক্ষকদের সর্তক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই বৈষম্য দুরিকরনে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে সকল ধরনের প্রস্তাবনা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অন্তবর্তি সরকারের গঠিত শিক্ষা কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথি বলেন, শিক্ষকদের মাঠ পর্যায় থেকে কর্মসূচি শুরু করতে হবে। যা পরবর্তিতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চুড়ান্ত আন্দোলন করা হবে। আগামি রবিবার থেকে আমরা বিদ্যালয় পর্যায়ে কালো ব্যাজ ধারণ করবো। এবং বৃহস্পতিবার এক দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন নিজ নিজ ফেসবুকে পোষ্ট করা হবে।
অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বলেন, সরকারকে বিব্রত করে নয়, বিগত সরকার আমাদের উপর যে বৈষম্য করেছে সেগুলো অন্তবর্তি সরকারের কাছে আমরা তুলে ধরবো।
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের কাজ করতে হবে। কোনো বিদ্যালয়ে ৫০ শিক্ষার্থী না থাকলে সরকার বিদ্যালয় বন্ধের চিন্তা করছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকলে শিক্ষকতাই তো থাকবেনা।
তিনি বলেন, আমাদের বুঝতে হবে অন্তবর্তিকালীন সরকারের কতটুকু কার্যক্ষমতা আছে। কৌশল অবলম্বন করে সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে দাবি আদায় করতে হবে। তাই, মানববন্ধন আর রাস্তায় দাঁড়ালে দাবি আদায় হবেনা। মাঠ পর্যায়ে পিটিআই বা যেখানে সেখানে দাড়িয়ে আন্দোলন সফল হবেনা। দাবিও আদায় হবেনা। তবে এটারও দরকার আছে যোগ করেন তিনি।
অভিষেক অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।