গাংনী উপজেলা নির্বাচনে এম এ খালেকের উপর আস্থা রাখতে চাই গাংনীবাসী
আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত্ব মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গতবরের মত এবারও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেকের উপর আস্থা রাখতে চাইছেন ভোটারা। বিগত দিনের উন্নয়ন আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করা সহ সামাজিক নানা কর্মকান্ডের কারনে এবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তার উপর আস্থা ভরসা রাখতে চাইছেন তারা।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেক দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সেবায় নিয়েজিত রয়েছেন। সকালে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে পরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে বসে জনগনের সেবা করার পর প্রায় প্রতিদিনই গ্রামগঞ্জে ছুটে যান দলীয় নেতাকর্মী সহ এই অঞ্চলের সাধারন মানুষের সুখ দু:খের খোঁজ খবর নিতে।
এম এ খালেক উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সংগঠনকে যেমন শক্তিশালী করেছেন তেমনী উপজেলার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ রাস্তাঘাট কার্লভাট সহ নানা উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
আওয়ামীলীগ কর্মীরা দাবি করেছেন,করোনা দূর্যোগের সময় অনেক জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যখন ঘরবন্দী হয়েছিলো ঠিক তখনই সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে সহযোগিতা করতে জীবনবাজি রেখে মাঠে ময়দানে কাজ করেছে এম এ খালেক।
‘ত্রাণ নয় উপহার’ এই শ্লোগান দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সঙ্কটের ফোনকল পেয়ে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বাড়িবাড়ি পৌছে দিয়েছেন এম এ খালেক। তিনি বলেন, কোন প্রতিদান পাওয়ার জন্য নয় সেবার ব্রত নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে চলেছি। চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে রাজনীতির মাঠে রয়েছি।
গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন,উপজেলা পরিষদে যে সমস্ত অর্থ বরাদ্দ এসেছে সেগুলো মানুষের কল্যাণে এলাকার উন্নয়ন করা হয়েছে। কোন ভাবেই তসরুপাত কিংবা অপব্যহার করা হয়নি।
রাজনীতিতে আমার কোন ভাই ভাস্তে আন্ত্রীয় স্বজন হস্তক্ষেপ করেনি এমনকি উপজেলা পরিষদে এসে কারোর সাথে অসৌজন্য মুলক আচরন কিংবা কাউকে হয়রানি করিনি।
এছাড়া দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে তিনি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে থেকে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি অসহায় নিপীড়িত নির্যাতনের মানুষকে সহযোগিতার
জানাগেছে,শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক মেহেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে,গাংনী উপজেলা নির্বাচনে ২য় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ১০ , পুরুষ ৩ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সাবেক এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের স্ত্রী লায়লা আরজুমান বানু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশিদুল হক জুয়েল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল,গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ন সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন,গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক মজিরুল ইসলাম ও মহিবুল ইসলাম মুকুল।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারুক হাসান, দেলোয়ার হোসেন মিঠু ও দেওয়ান রেজাউল হক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা ইয়াসমিন, আলপনা আক্তার ও নাসিমা খাতুন। আগামী ৩০ এপ্রিল মনোনয় প্রত্যাহেরর শেষ দিন। এই দিনে কয়েক প্রার্থী তাদের প্রাথর্তিা প্রত্যাহার করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। আগামী ২১ মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য : নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম এ খালেক গত উপজেলা নির্বাচনে (তৃতীয় ধাপে) ৪জন প্রার্থীকে হারিয়ে ৪৭ হাজার ৩ শ ৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
গাংনী উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৯। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৭ হাজার ৪৯৩ জন, নারী ভোটার এক লাখ ২৮ হাজার ৪৩৪ জন এবং তৃতীয়লিঙ্গের (হিজরা) ভোটার ২টি।