গাংনীর হিন্দা গ্রামের খলিল হত্যার অভিযোগে তিন জন আটক
মেহেরপুরের গাংনীর হিন্দা গ্রামের খলিল হত্যার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার মিরপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে র্যাব-৬ এর একটি অভিযান দল।
আটককৃতরা হচ্ছে- হিন্দা গ্রামের আবু বক্কর ও তার স্ত্রী আজিমন খাতুন (৪৫) এবং ছেলে সজীব (১৯)। আবু বক্কর হলেন খলিলের ভগ্নিপতি। তিনি স্বপরিবারে খলিলের পিতার ভিটেতে বসবাস করেন।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, খলিলুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে পরিবার গাংনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ২৩ মে খলিলুর রহমানের স্ত্রী আশুরা খাতুন বাদি হয়ে মামলাটি দয়ের করেন। মামলার আসামিদের আটকের জন্য র্যাবের একটি বিশেষ দল কাজ শুরু করে। বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে র্যাবের দলটি মিরপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
আটক তিনজনকে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গাংনী থানায় আজ (২৮ মে) শনিবার গাংনী থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। পরে তাদেরকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করে গাংনী থানা পুলিশ।
গেল ২১ মে নিজ বাড়িতে ছোট ভাই হবিবুর রহমানের সাথে বড় ভাই খলিলুর রহমানের গণ্ডগোল শুরু হয়। লেবু গাছের ডাল ভাঙ্গার তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে পরিবারর দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। ছোট ভাই হবিবুর রহমান ও তার পক্ষে বোন, ভগ্নিপতি মিলে খলিলুরকে মারধর করে। খলিলকে প্রাথমিকভাবে গাংনী ও পরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুই দিন পর সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফেরার পর আবারও অসুস্থতাবোধ করলে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১২ মে সকালে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় খলিলুর রহমানের পরিবার হত্যা মামলা করলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে সংশয় রয়েছে। মারধরে তিনি গুরুতর আহত ছিলেন না। তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর ছিল তার পেটের অসুখ। হাসপালে মূলত তার পেটের অসুখের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট আর প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য ছিল একই। এতে মৃত্যু হওয়ার মতো খলিলের শরীরে ছিল না। ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় নিয়ে তখনই প্রশ্ন উঠেছিল।