গাংনীর হাড়িয়াদহ গ্রামে সীমার ঘরভাঙ্গা সংসারে ঠাঁই হলো না
স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামী রেজাউল হকের বাড়িতে ধর্ণা দিলেও শেষ পর্যন্ত বিতাড়িত হতে হয়েছে গৃহবধু সীমাকে। প্রবাসী স্বামীর সংসারে থেকে পরোকীয়ায় জড়িয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে সীমা। এখন কোন স্বামীর কাছে ঠাঁই নেই তার। ঘটনাটি মেহেরপুরের গাংনীর হাড়িয়াদহ গ্রামের।গৃহবধু সীমা জানান, নয় বছর আগে তার বিয়ে হয় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সিংপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মালদ্বীপ প্রবাসী জনির সাথে। তাদের সংসারে রয়েছে সাত বছর বয়সী পুত্র সন্তান হাবিব। বেশ ভালই কাটছিল তাদের দাম্পত্য জিবন। ইতোমধ্যে ঘটে যায় বিপত্তি। বছর দুয়েক আগে পরোকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে হাড়িয়াদহ গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউলের সাথে।
রেজাউলের বিয়ের আশ্বাস পেয়ে সীমা প্রথম স্বামী জনিকে ৩০ জুলাই ২০২০ ইং তারিখে তালাক দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখে ও ২৯ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখে মেহেরপুর নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে গাংনীর মটমুড়া ইউনিয়ন কাজী অফিসে বিয়ে করেন। কাজী মঞ্জুরুল হক তাদের বিবাহ রেজিস্ট্রি করান।
এদিকে স্বামী জনি বিদেশ থেকে এসে স্ত্রী সীমার কাছে আসলে বুঝতে পারে সীমার পরোকীয়ার বিষয়টি। মাস দেড়েক আগে জনি ও সীমা মেহেরপুরের বেসরকারী সংস্থা মউকের মাধ্যমে আবারো তালাকের কাজ সম্পন্ন করে। আগে যে এফিডেভিটের মাধ্যমে তালাক দেয়া হয়েছিল সেটি স্বামীর কাছে না দেয়ার কারণে আবারো তালাক দেয়া হলো বলে জানান সীমা।
অপরদিকে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। বিয়ের স্বাক্ষি হাড়িয়া দহের লিংকন জানান, সীমা গ্রামের মেয়ে। সে গাংনী যেতে বলায় হাসপাতালের ওখানে যাই। পরে একটি কাগজে স্বাক্ষর করি। সেটা বিয়ের কাগজ না অন্য কিছু জানা নেই। তাছাড়া ছয়মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে আর দেড়মাস আগে তালাক দেয়ার ঘটনায় বিয়ে সিদ্ধ কিনা সেটা নিয়েও চলছে বিশ্লেষন।
গৃহবধু সীমা রোববার দুপুরে স্বামী রেজাউলের বাড়িতে আসলে রেজাউলের বাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ সময় গ্রামের নারী পুরুষ সবাই সীমার দোষত্রুিট তুলে ধরেন। সেই সাথে স্বামী রেজাউলকে তুলে ধুনা করেন তারা। পরে গ্রামের লোকজনের বিচারের আশ্বাস পেয়ে সীমা তার বাপের বাড়ি চলে যান।