গাংনীর সাহারবাটি তে সততাই পুরস্কৃত হলেন দুই নৈশ প্রহরী
টাকা ভর্তি মানিব্যাগ পেয়ে তিনদিন পর প্রকৃত মালিককে মানিব্যাগ পৌছে দেয়াই সততার প্রতিদান হিসেবে এবং দৃষ্টান্ত স্থাপনে পুরস্কৃত হলেন গাংনী উপজেলার সাহারবাটি বাজারের দুই নৈশ প্রহরী। সোমবার পড়ন্ত বিকেলে সাহারবাটি বাজারের দুই নৈশ প্রহরী আমজাদ হোসেন ও সারাত হোসেন কে পুরস্কৃত করেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, সাহারবাটি স্বেচ্ছায় রক্তদান ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ রাকিবুল ইসলাম টুটুল। নৈশ প্রহরী পুরস্কৃত হয়ে টাকা ভর্তি মানিব্যাগ এর চেয়েও অনেক বেশি সম্মানিত হয়েছেন বলে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সেই সাথে সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি মনে করে অন্যের সম্পদ আমার কাছে আমানত স্বরুপ। একজনের জানমাল আমি নিরাপদে রাখলে ,আমার জান মালের নিরাপত্তা অন্যরাও গুরুত্ব দেবে। পুরস্কার যে মানের ই হোক এটি লক্ষ-কোটি অর্থের চেয়েও অনেক দামি। মানিব্যাগে যে টাকা ছিল তা হয়তো কয়েক নিমেষেই ফুরিয়ে যেত। আত্মসম্মান পেয়েছি তা কখনো ফুরাবার নয়। পুরস্কৃত হবো এমন প্রত্যাশা আমাদের ছিল না। তবুও আমাদের কর্মের দ্বারা সম্মানিত হয়েছি।
ফেরত পাওয়া মানিব্যাগের মালিক জোড়া ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল বলেন, গত তিনদিন আগে সাহারবাটি বাজারে আমার একটি মানিব্যাগ হারিয়ে যায়। মানিব্যাগে যে পরিমাণ টাকা ছিল তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল কাগজপত্র। আমার ফেসবুক ওয়াল সহ পরিবর্তনের মেহেরপুর নামক একটি ফেসবুক ওয়ালে মানিব্যাগটি ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সে আহবানে সাড়া দিয়ে সাহারবাটি বাজারে নৈশপ্রহরী আমজাদ হোসেন ও সারাত হোসেন আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে মানিব্যাগটি ফেরত দেন।
আমি দুজন নৈশপ্রহরীর সততা দেখে হতবাক হয়ে পড়ি। মানি ব্যাগটি ফেরত পেয়ে খুলে দেখি তারা একটি টাকাতেও হাত দেয়নি বরং কাগজপত্রগুলো হেফাজতে রেখেছেন। রাকিবুল ইসলাম টুটুল আরো বলেন, তাদের সততার মূল্য হয়তো দিতে পারব না তবুও আরো হাজার হাজার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে দুজনকে সম্মাননা পুরস্কৃত করা হয়েছে। এসময় সাহারবাটি বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্বেচ্ছায় রক্তদান ক্লাবের সদস্য বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।