গাংনীর সাহারবাটিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের আহত-৩
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের তিন জন আহত হয়েছেন। আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- সাহারবাটি গ্রামের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আবুল হোসেন খোকনের ছেলে আরাফাত হোসেন শাহিন (৩৫), হুমায়ুনের ছেলে জুয়েল (২৫) ও প্রবাসী বাবুর আলীর স্ত্রী পলিয়ারা খাতুন (৪২)।
আহত শাহিনের পরিবার জানান, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষ জুয়েল ও তার লোকজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাহারবাটি বেলে মাঠপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শাহিনকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন এবং তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ভর্তি রেখেছেন।
শাহিনের পরিবারের অভিযোগ, জুয়েল হোসেন তাদের জমির সীমানা ঘেঁসে পানি পড়নের জায়গা ফেলে না রেখেই বাড়ি নির্মাণ শুরু করে। এবিষয়ে বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাহারবাটি গ্রামের বেলেমাঠপাড়ার হুমায়নের ছেলে জুয়েল, সামছদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর ও রফিকুলসহ তার লোকজন পিছন দিক থেকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় শাহিন মোটর সাইকেল থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেলেও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভন্ন স্থানে আঘাত করে ।
পরে শাহিনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শাহিনের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, শাহিনের মাথায় আঘাতের কারনে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। অবস্থা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এবিষয়ে জুয়েল ও তার লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, জুয়েল তাদের নিজস্ব জমির ওপর বসতবাড়ি নির্মাণ করছিলেন। বাড়ি নির্মানের কাজে বাঁধা দেয় শাহিন ও তার লোকজন। একপর্যায়ে শাহিন প্রথমে আমাদের মারধর শুরু করে। শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ। শাহিনের আঘাতে জুয়েল ও পলিয়ারা খাতুন আহতবস্থায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।