গাংনীর মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে মাসিক বেতন উঠাতে শিক্ষকদের দৌড়ঝাঁপ, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে ছয় মাসের বেতন উঠাতে শিক্ষকদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক দের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। বর্তমান করোনা সংকটের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাঠদান করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। বছর শেষে ছয় মাসের বেতন ও অন্যান্ন ফিস একবারে পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেক অভিভাবকরা।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা বলে, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কিন্তু এখন একবারে এত টাকা বেতন চাইলে বাবা-মা আমাদের সাথে রাগারাগি করছে। আর স্কুলের বেতন পরিশোধ না করলে স্যাররা বকাবকি করছে। আমরা এখন কী করবো?
অভিভাবকরা বলেন, দীর্ঘদিন করোনা সংকটের কারণে আমরা অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ। একসাথে এত টাকা বেতন দেওয়া আমাদের অনেকের পক্ষেই অসম্ভব।
হোগলবাড়িয়া মোহাম্মদপুর হাজী ভরস উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমরা সরকারী বিধি মোতাবেক বেতন আদায় করছি। তবে একটু চাপাচাপি না করলে বেতন উঠবে না। তাই একটু চাপ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন এটা বিদেশ নয় এটি বাংলাদেশ। চাপ না দিলে বেতন উঠবে না।
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুর বাশার জানান, বেতন নেওয়া যাবে কিন্তু বেতনের জন্য কোন প্রকার চাপাচাপি করা যাবে না।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, সরকারী বিধি মোতাবেক বেতন নেওয়া যাবে তবে কোনো অভিভাবক অপারগতা জানালে প্রধান শিক্ষকের কনসিডার করার একতিয়ার আছে।