গাংনীর পল্লীগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা, দর্শকের ভুমিকায় কর্তৃপক্ষ

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  04:53 PM, 04 November 2020

(ফলোআপ)মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই দিয়ে চলেছে চিকিৎসা। আর এক্ষেত্রে দর্শকের ভুমিকায় রয়েছে কর্তপক্ষ।

অনুষন্ধানে পাওয়া গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তিন শতাধিক পল্লী চিকিৎসক রয়েছে। এদের অধিকাংশেরই নেই প্রাতিষ্ঠানিক কোন সনদপত্র। অনেকে প্রথমে ছোটখাটো ওষুধের দোকান দিয়ে শুরু করে পল্লী চিকিৎসা। একজন পল্লী চিকিৎসকের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি থাকলেও ছোট থেকে বড় সব ধরনের চিকিৎসা করে থাকেন তারা। শিশুসহ বৃদ্ধ যেকোনো বয়সের মানুষের বিভিন্ন সমস্যার জন্য কোন প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ দিয়ে থাকে তারা। নিজেদের সুনাম বৃদ্ধি করতে হরহামেশা দিয়ে থাকেন এন্টিবায়োটিক ওষুধ। যাতে করে রোগীর সাময়িক উপশম হলেও বিপদের দিকে ধাবিত হয়।
সুধী সমাজ বলছে, এসকল গ্রাম্য চিকিৎসকের উপর নেই কোন প্রশাসনিক নজরদারি। পল্লী চিকিৎসা গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। রাত বিরাতে একজন পল্লী চিকিৎসক দাঁড়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশে। এই সুযোগে সাধারণ মানুষের উপকারের চেয়ে ক্ষতি করছে অনেকে। কারণ তারা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রশিক্ষণ না নিয়েই করে চলেছেন চিকিৎসা। পল্লী চিকিৎসকদের সঠিক পরিসংখ্যান করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জ্বোর দাবী জানান তারা।

পল্লী চিকিৎসকের সনদপত্র প্রাপ্ত কয়েকজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, একজন পল্লী চিকিৎসকের অবশ্যই প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরী। গ্রামের সাধারণ মানুষ প্রথমেই পল্লী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। ভুল চিকিৎসায় সাধারণ অসুখ থেকে মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে একজন রোগী।

সনদপত্র প্রাপ্ত নয় এমন কয়েকজন পল্লী চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু বই-পুস্তক পড়ে চিকিৎসা দিচ্ছি। সময় ও সুযোগের অভাবে কোর্স করা হয়নি।

মেহেরপুর জেলা সিভিল সার্জন নাসির উদ্দীন জানান, তারা শুধু চিকিৎসা দিচ্ছে এমন কথা বললে ভুল হবে। তারা ডাক্তার সেজেছে। খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :