গাংনীর ধানখোলায় জেরপূর্রক জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামে ৫.৩৫ একর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার( ১৮ আগস্ট) সকালে ধানখোলা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জমির একংশের মালিক এহিয়া মিয়ার ছেলে রোকনুজ্জামান বলেন, ধানখোলা মৌজা— ৫৫ নং সিআর খতিয়ানের, ৪৮৩, ৪৭৬, ৪৭৪, ৪৭২, ৪৭৭ ও এস এ খতিয়ানের ৪৫৭, ৪৫৮, ৪৫৫, ৪৬৮, ৪৫৪ এস এ দাগ ১৬৮৩, ১৭৪৯, ৩০৪৮, ৮১৯, ২৮৫০, ১২০১, ৮৪৮, ১২১২, ২৬৭৬ দাগে মোট ৫.৩৫ একর জমি আছে। গত ০৮/০৮/২৪ ইং তারিখে আমার ও আমাদের সরিকানা জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে একই গ্রামের মাঠপাড়ার মৃত মাহাতাব আলীর ছেলে ছইরদ্দিন আলী গং।
ওই জমিতে থাকা বাঁশবাগান, আম, কাঁঠালের বাগানসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল নষ্ট করে। এতে আমারও শরিকানার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই জমি ১৯৮০ সালে ভ’ল ক্রমে আমার বিবাদিগনের পিতার নামে রেকর্ড হয়ে যায়। পরবতীর্তে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মেহেরেপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা করা হয়। যার কেস নং—৭/৮০।
পরবতীর্তে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল মামলা হয়, যাহার দেওয়ানী আপীল করে। যার মামলা নং— ১৮/১৯৮৯। পরে ০১/০৮/১৯৯৪ আমাদের পক্ষে রায় দেয় সহকারী জজ আদালত। আমাদের প্রতিপক্ষগন উচ্চ আদালতে রায়ের বিপক্ষে আপীল করেন, যার দোওয়ানী রিভিমন নং—৩৬৬৩/১৯৯৪, তাং—১২/০৪/২০০৫। হাইকোর্ট০২/০৮/০১ইং তারিখে, আমাদের প্রতিপক্ষের নামীয় রুল রীতিমত খারিজ বলিয়া গণ্য করে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে পালানোর পর আমার জমি ছইরদ্দিন গং ও তার লোকজন আদালতের রায় না মেনে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে। তারা আমাকে সহ জমির সরিকানা সকল সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
আমারা এখন ঘরবন্দি জীবন—যাপন করছি। ইতিমধ্যে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গাংনী থানা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জেলা প্রসাশক বরাবর লিখিত আবেদন করেছি।