গাংনীর তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আ. লীগ সরকারের উন্নয়নের প্রচারণায় ডা. নাজমুল হক সাগর
মেহেরপুর ২ আসন গাংনীতে বিভিন্ন ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাংনীর সন্তান, সাবেক সাংসদ ও গণপরিষদ সদস্য জনাব নূরুল হকের সন্তান ডা. এ.এস. এম. নাজমুল হক সাগর। তারই ধারাবাহিকতায় আজ গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের কাছে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা নিয়ে ছুটে যান।
জনাব সাগর প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের সাথে গণসংযোগ করে ২০০৯ সাল থেকে এযাবৎ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার যেসমস্ত গণমুখী উন্নয়ন করেছে তা সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার জনমুখী সরকার। এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ। এই সরকারের আমলে অর্থনৈতিকভাবে দেশ ও দেশের মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা পেয়েছে।মানুষ আগের তুলনায় অনেক নিরাপদ ও শান্তিতে আছে। এই সরকারের সময়ে রাজনৈতিক, কৃষি, শিক্ষা, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।
তিনি এই সময় জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য। সাধারণ মানুষ ডা. নাজমুল হক সাগর এর ডাকে সাড়া দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
ডা. সাগর মনোনয়ন প্রত্যাশি কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমার মূল উদ্দেশ্য হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়ন তুলে ধরা, মানুষের পাশে দাড়ানো, মানুষের জন্য কাজ করা, নৌকাকে আবারো বিজয়ী করা। তবে দল যদি মনে করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন প্রদান করে তাহলে আমি জনগণের সাথে আরো ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ পাবো এবং গাংনীর উন্নয়ন আরো তরান্বিত করার চেষ্টা করবো, জনগণের প্রকৃত ও ন্যায্য অধিকার প্রদানের জন্য সচেষ্ট হবো।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবা এই আসনে প্রথম নৌকার এমপি ছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন তাই এই দলের প্রতি এই অঞ্চলের মানুষের প্রতি আমার অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে রাজনীতি করি।
ডা. নাজমুল হক সাগর ১৯৯৬ এর আগে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো সেই দুঃসময়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি একাধারে উক্ত ইউনিটের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ও আওয়ামী লীগের পক্ষের ডাক্তারদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সদস্য হয়েছেন। এসময় তার সাথে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ , ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।