গাংনীতে ৭বছর পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  04:19 PM, 11 January 2024

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূর্বমালসাদহ গ্রামের একটি কবর থেকে আল কবির নামের এক যুবকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশন (ভূমি) নাদির হােসেন শামীম এর উপস্থিতি মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এসময় গাংনী পুলিশের একটিদল সেখানে উপস্থিত ছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তার মরদেহ উত্তােলন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান,পূর্বমালসাদহ গ্রামের মিজানুর রহমান খোকনের পুত্র আল কবিরকে ১০ বছর বয়সে পষ্যে পুত্র হিসাবে লালন-পালন করেন একই গ্রামের আব্দুল লতিফ। আব্দুল লতিফ আল কবিরের নামে ১৩ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন । আল কবির গত ৭ বছর আগে বিদ্যুত স্পৃষ্টে মারা যায়। আল – কবির মারা যাওয়ার ১ বছর পর রোগে আক্রান্ত হয়ে আব্দুল লতিফ মারা যান। আব্দুল লতিফ মারা যাওয়ার পর তার ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা আল কবিরের জমি নিজেদের দাবি করেন। দখল করার চেষ্টা করেন। এদিকে আল কবিবের জন্মদাতা পিতা মিজানুর রহমান খোকন তার পুত্রের জমির অংশীদার দাবি করেন। এ নিয়ে তিনি আব্দুল লতিফের ভাইয়ের ছেলে গাংনী উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের মনিরুজ্জামানকে প্রধান আসামী করে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বার ৪০ জনের নামে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। মামলা নং-৩/১৮। আল – কবিরের নামে যেহেতু জমি রেজিস্ট্রি রয়েছে। তার জমির অংশীদার পেতে প্রকৃত বাবা চিহ্নিত করার লক্ষে আদালতের কাছে আল কবিরের ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন মিজানুর রহমান খোকন। আদালতের নির্দেশেই আল কবিরের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশন (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম জানান,জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বাদি-বিবাদীর মামলার নিষ্পত্তির লক্ষে আল কবিরের ডিএনএ পরীক্ষার করা হবে।
সে কারণে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :