গাংনীতে হত্যা মামলায় ৫৬জন আসামি কারাগারে
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাধাকান্তপুর ধলা গ্রামের নির্বাচনী সহিংসতায় দুই হত্যা মামলার ৫৬ জন আসামীকে কারাগারে পাঠানোর দির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারী ২০২২) বেলা ১টার দিকে মেহেরপুর চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শিরিন নাহারের আদালতে আসামীদ্বয় আত্নসমাপন করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চাঞ্চল্যকর দুই ভাই হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ৫৬ আসামীর এক মাসের অন্তবর্তীকালীণ জামিন দিয়েছেন উচ্চ আদাল। গত (৯ডিসেম্বর ২০২১) উচ্চ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মি.জাহাঙ্গীর হোসেন ও মি. আতাউর রহমানের দৈত বেঞ্চ আসামীদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে চার সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তীকালীণ জামিন প্রদান করেন। অন্তবর্তীকালীণ জামিনের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে মেহেরপুর আদালতে হাজির হয়ে আত্নসমর্পন করেন আসামীদ্বয়। এসময় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডঃ একেএম শফিকুল আলম। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন খন্দকার আব্দুল মতিন ও কোর্ট পরিদর্শক গোলাম মোহাম্মদ।
জানাগেছে, দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনে গাংনীর কাথুলী ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের দুই মেম্বর প্রার্থীর মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে আধিপত্য বিস্তারে গত ৮ নভেম্বর ২০২১ইং তারিখে সকালে মেম্বার প্রার্থী আজমাইন হোসেন টুটুল ও আতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আজমাইন হোসেন টুটুলের ফুপাতো দুই ভাই সাহাদুল ও জাহারুলকে নৃশংসভাবে খুন করে আতিয়ার রহমানের লোকজন।
এঘটনায় উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত ২০জন আহত হয়। নিহত সাহাদুল ও জাহারুলের ফুপাতো ভাই লালটু বাদী হয়ে ৬৬ জনকে আসামী করে গাংনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৯,তারিখ-০৯/১১/২০২১। মামলার পর ওই দিন গাংনী থানা পুলিশ এজাহারভুক্ত ৭জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন। বাকী ৫৯জন আসামী পলাতক ছিলেন।