গাংনীতে সেই গ্রাম পুলিশ ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
(ফলোআপ)মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ড নিশিপুর গ্রামের ১২০জন বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নাম করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগে গ্রামপুলিশ(চৌকিদার) জাহিদুল ইসলাম ও জনৈক এনামুল হকের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। গত সোমবার(১৪সেপ্টেম্বর) এ লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রাম পুলিশ জাহিদুল ইসলাম এলাকার কয়েকজন অসাধু লোকের সহযোগীতায় বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের কার্ড করে দেওয়ার নাম করে ২’শ ৫০টাকা থেকে ২ হাজার টাকা করে উত্তোলন করে। ভাতাভোগী কেউ যদি টাকা দিতে অস্বীকৃতি করে কলমের খোঁচা মেরে নাম কেটে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা।
ভাতাভোগী ছিয়ার মন্ডলের স্ত্রী জান্নাতুল আরা জানান, আমার স্বামী প্রতিবন্ধী। সরকারি একটি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার আশায় তাদের টাকা দিয়েছি কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারি সরকারি ভাতা প্রস্তুত করার জন্য কোন টাকা লাগে না। জাহিদুল চৌকিদার ও এনামুল আমাদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছে আমরা এদের বিচার চাই।
বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দেখি তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়?
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন। যে সকল ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে তাদের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তিনি আরো জানান গ্রাম পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্যঃগত শনিবার(১১সেপ্টেম্বর) বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার নাম করে রাতে অর্থ উত্তোলন করেছিল গ্রামপুলিশ(চৌকিদার) রবিউল ইসলামের ছেলে গ্রামপুলিশ জাহিদুল ইসলাম ও খেড়ু’র ছেলে এনামুল হক।টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের দু’জনকে হাতেনাতে আটক করলে,তারা তালিকা ধরে ১২০জনের কাছে ২’শ৫০ থেকে ২হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।