গাংনীতে সরকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণার্থী লাঞ্ছিত
মেহেরপুরের গাংনীতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে নারী প্রশিক্ষণার্থীদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে এসেও নানা ধরণের হুমকী দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নার্গিস সুলতানা নামের একজন প্রশিক্ষক গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। হামলাকারী ওই ব্যক্তির নাম ফয়েজ আহমেদ। সে গাংনী পৌরসভাধীন বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত টুনুর ছেলে। বুধবার (৪জানুয়ারী) সকালে হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে প্রকাশ, ফয়েজ আহমেদ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে এসে তার দুই মেয়ে অনন্যা ফয়েজ ও তামান্না ফয়েজকে বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণে ভর্তি করান। এরা দুজনই প্রশিক্ষণে এসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ও টিকটক ভিডিও করে। এতে নিষেধ করলে ফয়েজ আহমেদ বুধবার সকালে প্রশিক্ষণ কক্ষে ঢুকে প্রশিক্ষকসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করে। এসময় বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত নানা উপকরণ নষ্ট করে ফেলে দেয়।
এতেই সীমাবদ্ধ না থেকে, ফয়েজ ও তার স্ত্রী তানিয়া তাবাচ্ছুম মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা খাতুনকে নানা ধরণর হুমকী প্রদান করে।
প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, তাদের প্রশিক্ষণ রুমে পুরুষ প্রবেশ নিষেধ তারপরও ফয়েজ নামের ওই ব্যক্তি জোর পুর্বক প্রবেশ করে হামলা চালায়। বাধা দিলে তাদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ব্যাপারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। সেই সাথে প্রশিক্ষক নার্গিস সুলতানা গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গাংনী উপজলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, বিষয়টি জানার পর উভয় পক্ষকে ডেকে পরবর্তীতে আর কোন অঘটন না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি পুলিশ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।