গাংনীতে শুরু হয়েছে অবৈধভাবে পুকুর খনন সরকারি খাল দখল করে মাটি বিক্রয়ের অভিযোগ উপজেলা প্রশাসন দর্শকের ভূমিকায়

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:31 AM, 08 March 2021

সংশোধনীঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ যোগদান করার পর থেকে গাংনী উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে তিন ফসলি আবাদি জমিতে শুরু হয়েছে অপরিকল্পিত পুকুর খনন ও সরকারি খাল দখলের চেষ্টা। দর্শকের ভূমিকায় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা। এ ঘটনায় তিনি গাংনী উপজেলার কোন এলাকায় সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা নেননি। সরেজমিনে দেখা গেছে।


গাংনী উপজেলার ধলার মাঠ(হিন্দা শিলালপাড়া তালসারি রোড সংলগ্ন) সরকারি খালের পাশে দেড় বিঘা জমিতে পুকুর খনন করে তৈরি করা হচ্ছে পুকুর। অসাধু মাটি বিক্রেতা মফিজ উদ্দিন উপজেলার হিন্দা গ্রামের মসজিদ পাড়ার শমসের আলীর ছেলে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে প্রতিদিন ৯০-১’শ ট্রাক্টর মাটি নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটা তে। ফলে পিচ রাস্তা বর্তমানে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে ঘটতে পারে শতশত সড়ক দুর্ঘটনা এ ঘটনায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

স্থানীয়রা জানান, মেহেরপুর ০১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল, মেহেরপুর ০২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ সাহিদুজ্জামান খোকন বিভিন্ন মন্ত্রনালয় দ্বারে দ্বারে ঘুরে মেহেরপুর গাংনী উপজেলা কে সাজিয়ে তোলার লক্ষ্যে তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।কিন্তু এই অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা যেভাবে নষ্ট করছে যেন দেখার কেউ নেই। স্থানীয়রা জানান এই মফিজ উদ্দিন তিন ফসলী আবাদি জমির মাটি কিনে সেই জমির মাটি বিভিন্ন ইট ভাটায় দামে বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে মফিজের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার জমির পাসে সরকারি খাল থাকলে আমি কি করবো আমার জমি আমি বিক্রি করছি তাতে সরকারের কি।

এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি

উল্লেখ্য গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে একাধিক লিখিত অভিযোগ পড়লেও অসাধু মাটি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাহলে এককথায় বললেই চলে মাটি বিক্রেতার কাছে অসহায় প্রশাসন।

 

আপনার মতামত লিখুন :