গাংনীতে শিক্ষক কন্যা সুরমা মেডিকেলে ভর্তির সুযােগ পেলেন
ছোটবেলা থেকেই সুরমা খাতুনের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার, সাদা অ্যাপ্রোন গায়ে জড়ানোর। অবশেষে সুরমা খাতুনের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ ঢাকায় চান্স পেয়ে।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ৭নং সাহারবাটী ইউনিয়নের সাহারবাটী গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুরমা খাতুন এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
চাকরিজীবী পিতার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। অত্যন্ত মেধাবী সুরমা খাতুন ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখা করতে ভালোবাসে।
স্কুলের সব প্রতিযোগিতা, অনুষ্ঠান, গার্লস গাইড সবকিছুতেই ছিল তার অবাধ বিচরণ। স্কুলের সবাই একনামে চিনে তাকে।
সে স্কুল ও কলেজ জীবনে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, লয়ার, প্রোগ্রামার, ম্যাথমেটিশিয়ান আরও কত কিছুই হওয়ার স্বপ্ন দেখত। তবে সাদা অ্যাপ্রোনের মায়া উপেক্ষা করতে পারেনি সে। অত্র কলেজ থেকে অনেক কম শিক্ষার্থী মেডিকেল চান্স পায়, বছরে ২-৩ জন।
ঢাকার কোনো মেডিকেলে কেউ আছেন বলেও জানা নেই। তাই চান্স পাবে কিনা- এ ভয়টা কলেজের সবার মতো তারও হতো না এমন নয়। কলেজ লাইফটা ছিল তার কাছে স্বপ্নের মতো। কলেজের প্রতিটি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া, বিভিন্ন অলিম্পিয়াড, কম্পিটিশনে প্রথম হওয়া, সবকিছু মিলিয়ে লাইফটা অনেক সুন্দর ছিল তার। সে ছিল কলেজে গ্রুপ লিডার ও রেড ক্রিসেন্টে দলেরও।
কলেজের সবাই একনামে চিনত সুরমা খাতুন। প্রিন্সিপাল স্যার থেকে শুরু করে সব স্যার-ম্যামরা এবং তার বান্ধবীরা অনেক অনেক বেশি আদর করতেন তাকে। সব সময় মোটিভেট করতেন। সুরমা খাতুন কোনোদিন মন খারাপ করে থাকলে স্যার-ম্যামরা জিজ্ঞাসা করতেন- কী হয়েছে সুরমা মন খারাপ কেন? তুমি কি অসুস্থ? এ জিনিসগুলো যে কত বড় পাওয়া!
সুরমা, বলেছেন, আমি মনে করি কলেজ লাইফেই অ্যাডমিশনের রুট গড়ে নেওয়া উচিত। আর এতে আমার সম্মানিত স্যাররা, আম্মু-আব্বু আমাকে সর্বোচ্চ সাহায্য করেছেন। উনাদের দোয়া ও মহান আল্লাহর ইচ্ছায় আমি মেডিকেলে চান্স পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।
সুরমা খাতুন সবার কাছে দোয়া চেয়ে জানান, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় সে যেন একজন ভালো ডাক্তার হয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে সবার সেবা ও পেশাদারি দায়িত্ব পালন করতে পারেন।