গাংনীতে শাশুড়ি হত্যা মামলার আসামি বাদশার জবানবন্দী রেকর্ড
(ফলোআপ)প্রকাশ্য দিবালোকে শাশুড়ি রঙ্গীলা(৪৫)কে হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে ওই হত্যা মামলার আসামি বাদশা মিয়া(২৫)। আজ বুধবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম’র বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
গাংনী থানার ওসি(তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী গাংনীর চোখ’কে জানান, বাদশা মিয়া কে তার শাশুড়ি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মেহেরপুর জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নেয়া হয়। জবানবন্দিতে বাদশা তার নিজের দোষ স্বীকার করে। এর আগেও পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাদশা তার নিজের দোষ স্বীকার করে।
বাদশা তার জবানবন্দীতে বলেন, তার স্ত্রীর সাথে প্রায় ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকত। কয়দিন যাবৎ তাকে(স্ত্রীকে) শশুর বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে শাশুড়ি বাধা হয়ে দাড়ায়।ঘটনার ওই দিন এ নিয়ে স্ত্রী ও শাশুড়ির সাথে তুমুল ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল।এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে মাঠে রশি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে(বাদশা)।পরে স্ত্রী ও শাশুড়ি মাঠে থেকে ডেকে আনেন(বাদশা কে)।কিছুতেই মিটমাট হচ্ছিল না বিষয়টি।পরে ধারালো অস্ত্র(হাসুয়া) দিয়ে প্রথমে সাত্রীকে কোপ মারে।পরে শাশুড়ি তার মেয়ে রিনি(২২)কে ঠেকাতে(বাঁচাতে) আসলে দেশিও অস্ত্র(হাসুয়া) কুপিয়ে হত্যা করে।হত্যার পর নিজ গ্রামে আত্মগোপনে চলে যান বাদশা মিয়া।পুলিশ ও স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে রাতের আঁধারে অন্যস্থানে আত্মগোপনের চেষ্টাও করে সে(বাদশা)। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করে পুলিশ।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আব্দুর রাজ্জাক গাংনীর চোখ’কে জানান, বুধবার(২৪-আগস্ট) দুপুরে দিকে নিহত রঙ্গীলা খাতুনের স্বামী শওকত আলী বাদী হয়ে গাংনী ৩০২/৩২৬/৩০৭ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।যার মামলা নং-২৩,তারিখ-২৪/০৮/২২।
উল্লেখ্যঃগতকাল মঙ্গলবার(২৩-আগস্ট) প্রকাশ্য দিবালোকে সকাল ১১টার দিকে পারিবারিক কলেজের ধরে শাশুড়ি রঙ্গীলা খাতুন কে কুপিয়ে দেশিও অস্ত্র(হাসুয়া) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বাদশা মিয়ার স্ত্রী রিনি খাতুন কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।