গাংনীতে মসজিদের ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:26 PM, 30 March 2024

মেহেরপুরের গাংনীতে মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে। মসজিদের কোন কাজ না করেই কাগজে কলমে কাজ শেষ হয়েছে মর্মে পুরো টাকা উত্তোলন করেছে ঠিকাদার। তবে মসজিদের কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদের তৎকালিন কর্মকর্তার নিরব ভুমিকার কারনে এই টাকা লুটপাট হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় মুসল্লিদের। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। টাকা আত্মসাতের সাথে জড়িতদের চিহৃত করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করেছে এলাকাবাসি।
মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক বুলবুল আহমেদ বলেন, ২০২০/২১ অর্থ বছরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের অলিনগর দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নের জেলা পরিষদ থেকে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। লটারির মাধ্যমে কাজের ঠিকাদার নির্বাচিত হন মেহেরপুরের শরিফুল ইসলাম। তৎকালিন সময়ে ঠিকাদার কাজ না করেই সভাপতি আব্দুল মান্নানের সহযোগিতায় বিল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। সম্প্রতি মসজিদের জেলা পরিষদের বরাদ্দের নাম ফলক লাগাতে গেলে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে।
বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন,স্থানীয়দের টাকায় মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়ন করা হয়েছে। জেলা পরিষদের টাকা বরাদ্দ হয়েছে এটা কেউ জানে না। নাম ফলক লাগাতে আসার পর বরাদ্দের বিষয়টি জানাজানি হয়।
তিনি আরো বলেন, ঠিকাদার,মসজিদ কমিটির সভাপতি ও মসজিদের এই কাজের দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদের তৎকালিন কর্মকর্তা মিলে বরাদ্দের ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
স্থানীয় মুসল্লী আহসান ইসলাম টিও বলেন,জেলা পরিষদের বরাদ্দের বিষয়ে ঠিকাদার তাদের জানিয়েছেন ১লাখ ৫০ হাজার টাকা সভাপতির কাছে দিয়েছে আর ১০ হাজার টাকা কিছুদিন পরে দেবে।
ঠিকাদার শরিফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসুস্থ বলে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।
অলিনগর দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন,ঠিকাদার তাকে কোন টাকা দেয়নি। ঠিকাদার টাকা আত্মসাৎ করে তার উপর দায় চাপাচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, অলিনগর দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দের টাকার কাজ হয়েছে এই মর্মে মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রত্যায়ন দিয়েছে। তবে শুনেছি ঠিকাদার ঐ মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। টাকা দেওয়ার নিয়ম আছে কিনা ও বরাদ্দকৃত টাকার কাজ যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি তদারকি না করার কারনে কি এই অনিয়ম হয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

আপনার মতামত লিখুন :