গাংনীতে ভূঁয়া চাষীদের তালিকা করে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আরডিএফ’র সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
মেহেরপুরের গাংনীতে ভূঁয়া চাষীদের তালিকা করে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আরডিএফ), সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেম প্রোগ্রাম (এস আই পি এস) গাংনী শাখা ও হাটবোয়লিয়া শাখার উদ্যোগে ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইডকলের আর্থিক সহযোগিতায় পছন্দের লোক নিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, সোলার ইরিগেশন পাম্পিং চাষীদের উদ্বৃদ্ধ করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও এলাকা সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম নাঈম এর স্বে”ছাচারিতা চালিয়ে ভূঁয়া চাষীদের নামে মাষ্টার রোল করে টাকা আত্মসাৎ করছ্ েবলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষাণার্থীদের প্রতিদিনের সম্মানীভাতা ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট বাবদ কত টাকা বরাদ্দ রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নাঈম গড়িমসি করতে থাকেন। আরও জানা গেছে, প্রশিক্ষাণার্থীদের ১ টি ছাতা, একটি নোট খাতা-কলম ও এক প্যাকেট দুপুরের খাবার (বিরিয়ানি) দেয়া হয়। যার বাজার মূল্য ২৫০ টাকার বেশী হবে না। সরকারীভাবে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও আর ডিএফ কর্মকর্তা ব্যাগ এর মাধ্যমে দুপুরের খাবার সরবরাহ করছে।
এব্যাপারে অভিযোগ দেয়া হলে তিনি জানান, সবাই ব্যবহার করছে আমি করলে সমস্যা কি? এটা নিয়ে সাংবাদিকরা যা পারে লিখতে পারেন। আমাদের কিছুই হবে না।
স্থানীয়রা জানান, মাইনুল ইসলাম নাঈম নিজেকে বড় মাপের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে যা খুশী তাই করেন। কখনও উপজেলার কোন গ্রামের সোলার চাষীদের সাথে আলাপ আলোচনা বা চাষে পাম্পিং ব্যবহারে কাউকে উদ্বুদ্ধ করেন না।
উপজেলা কৃষি অফিসার কে এম শাহাবুদ্দীন আহমেদ জানান, প্রশিক্ষণে আমাদের ফ্যাসিলেটেটর হিসাবে চিঠি দিয়েছে। আরডিএফের কার্যক্রম নিয়ে আমাদের সাথে কখনও শেয়ারিং করে না। কতজন চাষী তাদের পাম্পিং সহযোগিতা গ্রহন করছে তা আমাদের কাছে কোন রকম রিপোর্ট দেয় না। সেচ খরচ বাবদ চাষীদের নিকট থেকে বিঘাপ্রতি কত টাকা করে নেয়া হচ্ছে তাও আমরা জানতে পারিনি।
আপনি ফিল্ড পর্যাায়ে কি চাষীদের সাথে যোগাযোগ রাখেন ? এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি সব সময় যেতে পারিনা।
এসব অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় নিয়ে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর গোলাম মাসুদ জানান,চাষীদের নিয়ে প্রোগ্রাম।কিছুটা এদিক ওদিক হয়।তবে চাষীদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে অল্প খরচে বেশী লাভবান হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়।এই প্রশিক্ষণে ইডকলের কর্মকর্তা ও উপস্থিতি করানো হয়।সেকারনে কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই।
তালিকাভুক্ত চাষী ছাড়া কোন ভূয়া কৃষকের নাম নেয়া হয় না। তবে অনেক সময় তাদের কর্মব্যস্ততার কারনে ছেলে বা নিকটাত্মীয়রা আসে। মানবিক কারনে তাদের ফিরিয়ে দেয়া যায়না।