গাংনীতে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
মেহেরপুরের গাংনীতে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জালশুকা গ্রামের আনারুল ইসলাম ও ওমিদ আলীর বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের রবগুল আলীর ছেলে মিনারুল ইসলামের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি। মিনারুল ইসলাম জানান,তার বাবা মায়ের জন্য বয়স্ক ভাতা করে দেওয়ার নামে জালশুকা গ্রামের মনিরউদ্দীনের ছেলে আনারুল ইসলাম ও একই গ্রামের কায়েম আলীর ছেলে ওমিদ আলী ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
আনারুল ইসলাম ও ওমিদ আলী জনপ্রতিনিধি না তাহলে তাদের টাকা দিলেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,তারা স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মী বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসা সরকারী সুবিধা তারা ভাগবাটোয়ারা করেন একারনে তাদের টাকা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আনারুল ইসলাম বলেন,আমরা আওয়ামীলীগ করি ঠিক আছে কিন্তু টাকা নেওয়ার ঘটনা সত্য নয়।
ওমিদ আলী বলেন,তার নামে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ইউপি সদস্য সিদ্দিক আলীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি।
ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান জানান,সরকারী সকল বরাদ্দ ইউপি সদস্য,আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের সমন্নয়ে ভাগ করে দেয়া হয়। বয়স্ক বিধবা সহ কোন ভাতা নিতে টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। যদি কেউ টাকা নেওয়ার সাথে জড়িত থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভুগী জানান, বয়স্ক বিধবা ও মাতৃত্বকালিক ভাতার কার্ডের বিপরীতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
তবে একটি সরকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, বয়স্ক বিধবা ভাতার পাশাপাশি বিশেষ করে মাতৃত্বকালিক ভাতা দেওয়ার নামে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গোপনে কাজ করছে সরকারী একটি সংস্থা।