গাংনীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান
মেহেরপুরের গাংনীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছে এক প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের ঈদগাহ পাড়াতে। ওই গ্রামের ঈদগাহ পাড়ার মুক্তার আলীর ছেলে রুবেলের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবীতে অবস্থান নিয়েছে একই উপজেলার বানিয়াপুকুর গ্রামের টিপু সুলতানের মেয়ে তৃপ্তি খাতুন।
তৃপ্তি খাতুন জানায়, রুবেলের সাথে আমার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। বছর খানেক আগে বামন্দীতে আমাকে ও রুবেলকে আটক করেছিল স্থানীয় লোাজন। ওই সময় রুবেলকে কৌশলে ছাড়িয়ে নেয় রুবেলের গ্রামের লোকজন। পরে আমি সুবিচার পেতে মেহেরপুর কোর্টে একটি ধর্ষন মামলা করি। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে রুবেল। তারপর থেকে সে আমার মায়ের বাড়ি বানিয়াপুকুরে যাওয়া আসা করে। বিয়ে করবে বলে সে আজকাল করে কালক্ষেপন করছে। এসব ঘটনায় আমার স্বামী আমাকে তালাকও দিয়েছে। আমি এখন মায়ের বাসা বানিয়াপুকুরে থাকি।
তৃপ্তি আরো জানায়, গতকাল শনিবার রাতে রুবেল আমার মায়ের বাসায় যায়। আমার পরিবারের লোকজন তাকে দেখে আটকাতে গেলে রুবেল দৌড়ে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে আমি রুবেলের সাথে বিয়ে করার জন্য তার বাড়ি চলে এসেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে একই গ্রামের মোতালেব জানায়, রুবেল ও তৃপ্তির মধ্যে একটি আপোস মিমাংসা হয়। তারপর তৃপ্তি মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। পরে রুবেল তার ওয়াদা রাখেনি। গতকাল আমিও রুবেলের সাথে বানিয়াপুকুরে গিয়েছিলাম। তৃপ্তির পরিবারের লোকজন যখন রুবেলের সাথে ধস্তাধস্তি করে তখন আমি পালিয়ে এসেছি।
এলাকাবাসী জানায়, রুবেল ও তৃপ্তির মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে মামলা মকদ্দমাও হয়েছে। রুবেল ও তৃপ্তির কারনে এলাকায় বেশ কয়েকটি মামলার ঘটনাও ঘটেছে। তাদের বিষয়টি এলাকার সবাই কম বেশী জানে। রুবেলের জন্যই তৃপ্তির সংসার ভেঙ্গেছে।
তাদের ষড়যন্ত্রে একই গ্রামের সাত্তারের ছেলে রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার মামলা করে তৃপ্তি। তৃপ্তির সাবেক স্বামী জাকেরের বিরুদ্ধেও মামলা করে সে। অপরদিকে জাকের আলী তৃপ্তির বিরুদ্ধে টাকা চুরির মামলা করে। প্রসাশনিক কঠোর হস্তক্ষেপে রুবেল ও তৃপ্তির বিষয়টি নিশ্পত্তি করে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জোর দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত রুবেল পলাতক রয়েছে।