গাংনীতে বিষ দিয়ে খামারের হাঁস হত্যার অভিযোগ
মেহেরপুরের গাংনীতে নদীর পার্শ্ববর্তী জমিতে বীজ দিয়ে খামারের হাঁস ২’শ৭৬টি হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার হাস হত্যার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত দেড় বছর আগে ১২’শ হাঁস নিয়ে খামার ব্যবসা শুরু করেন উপজেলার কুমারীডাঙ্গা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে উজ্জল হোসেন,মৃত আহসান আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন ও আলেহীম ছেলে গোলাম মোস্তফা। খামারের হাঁস পালন করতে গিয়ে তিনি পার্শ্ববর্তী মাথাভাঙ্গা নদী ব্যবহার করছেন বলে জানান।বর্তামানে তাদের খামারে ৫’শ ৬টির মত হাঁস ছিল বলে শুনেছি।আর গত কাল বিষ খেয়ে নাকি ২’শ৭৬টি হাঁস মারা গেছো
খামারি উজ্জল হোসেন জানান, মাথাভাঙ্গা নদীর পাশে সরকারি জমিতে গেমা(এক প্রকার ঘাস) লাগিয়েছেন কুমারী ডাঙ্গা গ্রামের ভিটাপাড়া টেংঙ্গোর আলীর ছেলে মহিষের গাড়ি চালক মহিবুল ইসলাম(৩৫) ও ও একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে রহিদুল ইসলাম ঝুনি(৪০)। সেই গেমা ঘাস খামারের হাঁসে খাওয়ার অপরাধে রাতের আঁধারে সে বিষ রাখে। এতে আমার খামারের ২’শ৭৬টি হাস মারা যায়। তিনি আরো জানান মৃত হাঁস বস্তায় করে কুমারী দাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় দেখানোর জন্য,এরপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজকে সেই হাঁসগুলো দেখে নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে মজিবুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গেমাতে বিষ ব্যবহার করা যায় না।যদি গেমাতে বিষ ব্যবহার করে তাহলে সেই গেমাকে আর বাঁচানো সম্ভব নয়। আর হাঁসগুলো পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের চাষীরা কচুক্ষেতে বিষ দিয়ে থাকার কারণে কচুক্ষেতের কেঁচো হাঁসের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় যুবক আলমগীর হোসেন জানান, অসুস্থ হয়ে খামারের হাস মারা যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে নদীর পাশ থেকে আমি চারটি হাঁস নিয়ে জবাই করে বাসায় নিয়ে যাই। আমার মত আরো অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়া হাঁস জবাই করে বাসায় নিয়ে গেছে।
এদিকে কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, বিষ হাস দিয়ে হাঁস মারার একটি অভিযোগ পেয়েছি গতকাল শুক্রবার। উজ্জল হোসেন নামের এক যুবক ক্যাম্পে পাঁচটি হাঁস নিয়ে এসেছিল।হাঁস হত্যার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাংনী থানার ওসি মোঃ বজলুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, যদি লিখিত অভিযোগ করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।