গাংনীতে বিচালীর বাজরে আগুন! দিশেহারা গরু খামারী ও চাষীরা
বিচালির দাম চড়া হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গরুর খামারিরা। বর্তমানে গো-খাদ্য হিসেবে খড় বা বিচালির দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় মেহেেপুর জেলায় বিভিন্ন অঞ্চলের গরুর খামারিদের মাথায় হাত। খড়ের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে খামারিদের খামার বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না-এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
সরোজমিনে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও খামার ঘুরে দেখা গেছে, অনেক খামারি কোনো চাকরি না পেয়ে আশায় বুক বেঁধে গরুর খামার শুরু করেছে, শুরুতে ভালোই চলছিল খামার কিন্তু বর্তমানে খড়সহ বিভিন্ন গো- খাদ্যের দাম চড়া হওয়ায় তারা ভাবছে খামার বাদ দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাবে।
বিচালী কাটা মেশিন গাংনী উপজেলায় বিভিন্ন বিচালি ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে জানতে চাওয়া হলে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের একজন বিচালি ব্যবসায়ী গাংনীর চোখ’কে জানান, গত বছর এ সময় মাঝারি আকারের ধানের খড় বা বিচালির দাম ছিল পোন (৮০)টি প্রতি ১৮০-২০০ টাকা অর্থাৎ এক কাউন ২৮০০-৩২০০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কাউন বিচালির দাম ৬৫০০-৮০০০ টাকা। অন্যদিকে ভূষি, ওষুধের দামও বেড়েছে। খড়ের দাম চড়া হওয়ায় অনেকেই খড় না কিনে বাড়ি ফিরছেন।
এব্যাপারে বিচালি কিনতে আসা ভবানিপুর গ্রামের একজন কৃষক গাংনীর চোখ’কে জানান, ধানের বিচালি এত দাম যে গরু পোষা দুরুহ হয়ে পড়েছে। তার চারটি গরু বর্গা (আদি) নিয়ে লালন-পালন করছেন। তার অনেক আশা ছিল গরুগুলোকে একটু স্বাস্থ্যবান করে বকরা ঈদে (ঈদুল আজহা) সময় বিক্রি করে বাড়তি কিছু আয় করবে। বর্তমানে গরুর খাবারের যে দাম তাতে সেটা আর হবে না, এখনই গরু চারটি বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে জানান তিনি।
একই গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে হযরত আলী গাংনীর চোখ’কে জানান, এবছর প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ধানক্ষেত ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এবারের ধানের খড়ের দাম এত বেশি।গাংনী উপজেলার গরু খামারী ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই চলমান সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে বের হতে না পারলে চলতি বছর গরু খামারীদের মোটা অংকের লোকসান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।