গাংনীতে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখােলা বাজারপাড়াস্থ স্বামীর বাসভবন থেকে পিংকি খাতুন (২৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গাংনী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মালয়েশিয়া প্রবাসী আনােয়ার হােসেনের স্ত্রী পিংকি।
গতকাল সােমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধানখােলা বাজারপাড়াস্থ বাসভবনের সিলিংফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানাে পিংকির মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশের একটিদল। স্থানীয়রা জানান,পিংকির স্বামী আনােযার হােসেন দীর্ঘ ৬ বছর আগে কর্মের সুবাদে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। গত ৪ বছর আগে আনােয়ার ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। পরে আবারাে তিনি মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে পিংকি তার দুই শিশু কন্যা নিয়ে ধানখােলা বাজারপাড়াস্থ বাসভবনে বসবাস করে আসছিলেন।
সােমবার সকাল ১০ টার দিকে পিংকি একটি কক্ষের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যান। এবং শিশু সন্তানদের নিয়ে পিংকির মা আঞ্জুমানারা খাতুন অন্য একটি কক্ষে শুইয়ে ছিলেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়েও গেলেও পিংকির কােন সাড়া পেয়ে, তার কক্ষের দরজা ধাক্কা দিতে থাকেন মা আঞ্জুমানারা। শেষমেষ বিকেলের দিকে পিংকির মা আঞ্জুমানারা তাকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য কক্ষের বাইরে থেকে আবারাে ডাকতে থাকেন। বার বার ডাকার পরও কােন সাড়া না পেয়ে স্থানীয় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে সিলিং ফ্যানের সাথে পিংকির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটিদল তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পিংকির মা আঞ্জুমানারা খাতুন জানান,পিংকির সাথে আমার জামাতা আনােয়ার হােসেনের ৪ মাস ধরে মনােমালিন্য চলছিল। এ কারণে সে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে,পিংকির বড় ভাই রেজাউল হক সাংবাদিকদের জানান,আমার ছােট বােন পিংকির সাথে তার স্বামী আনােয়ার মােবাইলফােনের মাধ্যমে মাঝে মাঝেই ঝগড়া করতাে । গত ৪ মাস যাবত সে পিংকির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি পিংকি ও তার দুই সন্তানের খােরপােষাক দেয়াও বন্ধ করে দেয়। আনােয়ার ইদানিং পিংকিকে অকথ্য গালিগালাজ করে আসছিল। এবং আনােয়ারের প্ররােচণায় পিংকি আত্মহত্যা করেছে।
গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পিংকির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেলের হাসপাতাল মর্গে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা।