গাংনীতে পানি নিষ্কাশনের নামে পুকুর কেটে মাছ বের করে দেওয়ার অভিযোগ, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৮

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:30 PM, 15 September 2020

মেহেরপুরের গাংনীতে পানি নিষ্কাশনের নামে পুকুর কেটে মাছ বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুকুর কাটায় বাধা দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ০৮ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার তেরাইল গ্রামের পলদা পাড়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় আহত হন,উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের ওহিদুল(৪৫), রানা(২৪), সজিব(২৪), রনি(১৮) শান্ত(১৪), জাহিদ (১৫) সাবের(৪৫) ও আরোজ (২৮)। আহতদের মধ্যে ওহিদুল ও সাবের আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাঁকিদেরকে দেয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা।

আহত ওহিদুল জানান,আমি ৭০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করে আমার পুকুরের কাছে যাই। তেরাইর গ্রামের রাজ্জাকের ছেলে সাইফুল(২৮) ও শরিফুল(৪০) সহ ১০/১২ জন আমার পুকুর কেটে মাছ বের করে দিচ্ছে। এমন সময় আমি তাদের বলি আপনারা পুকুরটা কাইটেন না আমি নেট দিয়ে ঘিরে রাখছে যেন মাছ বের হতে না পারে তারপরে আপনারা পুকুরটি কেটে দেন। এ কথা বলতে না বলতেই বাঁশের লাঠি, গাছের ছোট ছোট ডাল কেটে এনে আমাদের উপর হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শী রাশেদুল ইসলাম জানান,মহব্বতপুর গ্রামের মাছ চাষি রাশেদ জানান, তিনি খালের পাশে ৪০ টি পুৃকুর খনন করে মাছ চাষ করছেন। কয়েকদিন আগে স্থানীয় এমপি স্টুয়ার্ট খাল দখল মুক্ত করতে ও মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধ অপসারণ শুরু করেন। এলাকার সুবিধাভোগী কিছু লোকজন এ সুযোগে তার ৪০ টি পুকুরের পাড় কেটে মাছ বের করে দেয়। এতে বাঁধা দিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের উপস্থিতিতেই তেরাইল গ্রামের মেম্বর জিয়া ও তার লোকজন বেধড়ক মারপিট করে। এতে আট জন আহত হয়।


বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের ০৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার জিয়াউর রহমান জানান, পুকুর মালিকের সম্মতিক্রমে পুকুর কেটে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমরা এক হই। হঠাৎ করে কেন এরকম বাকবিতন্ডা হলো সেটা আমার জানা নেই।

বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, আমার কোন বক্তব্য নেই। মারামারি হয়নি, এমনিতেই একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ধাক্কাধাক্কিতে একটু কেটে যেতে পারে। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমি নিজে থেকে মিটমাট করে দিয়েছি। আবার আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো। তিনি আরো জানান, এখানে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। ৭০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এসব কথার কোন ভিত্তি নেই।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। আমি কিছু জানি না।

 

আপনার মতামত লিখুন :