গাংনীতে পাটবীজ চাষী প্রশিক্ষণের নামে এসব কি হচ্ছে !ভূঁয়া ব্যক্তিদের নিয়ে দায়সারা প্রশিক্ষণ করে টাকা আত্মসাৎ

গাংনীতে পাটবীজ চাষী প্রশিক্ষণের নামে এসব কি হচ্ছে !ভূঁয়া ব্যক্তিদের নিয়ে দায়সারা প্রশিক্ষণ করে টাকা আত্মসাৎ

শেয়ার করুন

মেহেরপুরের গাংনীতে পাটচাষীদের প্রশিক্ষণের নামে সরকারী টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে পাট বীজ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষনে প্রকৃত চাষীবাদ দিয়ে পাট কর্মকর্তার সাজগোজে তাদের পছন্দের কয়েকজনকে নিয়ে প্রশিক্ষনের বরাদ্দ অর্থ লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ চাষীদের।
জানা গেছে, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১শত জন পাটচাষী নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের কথা থাকলেও ৬০ জন অংশ নিয়েছে। প্রশিক্ষনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগই চাষকাজের সাথে যুক্ত নয় বলে নিশ্চিত করেছে এলাকাবাসি। বাকী ৪০ জনের প্রশিক্ষণ ভাতার টাকার কোন হদিস মেলেনি।
জানা গেছে, ১০০ জন পাটচাষী নিয়ে একটি নোট খাতা, কলম ও নগদ ৫০০ টাকা করে দেয়া হবে। জেলা পাটবীজ কর্মকর্তা কেএম আব্দুল বাকী ও গাংনী উপজেলা পাট কর্মকর্তা মেহেদী হোসেনের যোগসাজশে প্রকৃত পাট চাষীদের বাদ দিয়ে তাদের পছন্দের ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নামের তালিকা করে দায়সারা প্রশিক্ষণ দিয়ে অর্থ পকেটস্থ করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রশিক্ষণে পাট চাষীদের তালিকা চাইলে গাংনী উপজেলা পাট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আমরা চাষীদের তালিকা আপনাদের দিতে পারবো না। তালিকা চাইলে আপনারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত করতে হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, পাটবীজ চাষীদের প্রশিক্ষনে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প, পাট অধিদপ্তরের সহকারী প্রকল্প পরিচালক (প্রশাঃ ও হিসাব) স্বপন কুমার সরকার বলেন,উপজেলার প্রকৃত চাষীদের নিয়ে প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয়। প্রতিটা প্রশিক্ষনে ৪৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যাচাই বাছাই শেষে প্রকৃত পাটচাষীদের প্রশিক্ষন দেয়া হয়। তবে কোন জেলা উপজেলা অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে গাংনী উপজেলায় যদি প্রকৃত চাষীদের বাদ দিয়ে প্রশিক্ষনের আয়োজন করে তাহলে দায়ি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কোন ভাবেই ৬০ জন অংশ নিয়ে ১শ’ জনের ভাতা উত্তোলন করতে দেয়া হবেনা বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য : গত মৌসুমে জেলা পাটবীজ কর্মকর্তা কেএম আব্দুল বাকী ও গাংনী উপজেলা পাট কর্মকর্তা মেহেদী হোসেনের যোগসাজশে কাথুলী ইউপি সহ কয়েকটি ইউপিতে সরকারী বীজ দোকানে বিক্রিয় ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে প্রকৃত পাটচাষীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

কৃষি গাংনী উপজেলা