গাংনীতে নিয়মিত স্কুলে ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিন্নাত রেহানার বিরুদ্ধে নিয়মিত স্কুলে ক্লাস ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, কর্মচারীসহ অভিভাবকরা।
জানা গেছে, জিন্নাত রেহেনা রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই প্রতিদিন দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় বাড়ি চলে যান। নানা অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যালয়ে আবার দুপুর ২ টার পরে প্রবেশ করেন। সরকারি নির্দেশনা থাকলেও কোনদিন দুপুরে শিক্ষার্থীদের সাথে টিফিনে অংশগ্রহণ করেন না তিনি। এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলেও কোন কর্ণপাত করেননি জিন্নাত রেহেনা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতাও পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, জিন্নাত রেহেনা ম্যাডাম প্রতিদিন স্কুলে দেরি করে আসেন। আবার টিফিনের আগেই বাড়ি চলে যান। টিফিনের অনেক পরেই স্কুলে আসেন।
এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, ঠিকমত যদি শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকে তাহলে কিভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করবেন। তার এমন কর্মকান্ডের কারণে প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে অনেক শিশু শ্রেণী শিক্ষার্থী। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের কিন্টারগার্ডেনে ভর্তি করছেন অভিভাবকেরা।
তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি সহকারী শিক্ষক জিন্নাত রেহেনা ।
রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজিয়ারা খাতুন জানান, জিন্নাত রেহেনা রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যোগদানের পর থেকেই তিনি প্রতিদিন দুপুরে বাসায় চলে যান এবং একটু দেরি করে আসেন। এ বিষয়ে একাধিকবার তাকে নিষেধ করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। পরে বাধ্যে হয়ে উপজেলা উপসহকারী শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন স্যারকে বিষয়টি নিয়ে অবগত করলে, তাকে কারণ দশানোর নোটিশ দেন। পরে জিন্নাত রেহেনা ক্ষমা চান। এমন কাজ পুনরায় আর করবেন না বলে জানিয়ে দেন। তবে আবার পুনরায় একই কাজ করে যাচ্ছে আমরা বিষয়টি নিয়ে তাকে একাধিকবার বললেও কোনো কর্নপাত করছে না।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন জানান, এমন ঘটনার জন্য জিন্নাত রেহেনাকে কারণ দসানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। সে সময় তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন আর এমনটি করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। পুনরায় খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে আবারও অফিসিয়ালি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই শিক্ষা অফিসার।