গাংনীতে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের হামলায় স্বামী স্ত্রী সহ আহত-৪
মেহেরপুরের গাংনীতে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের হামলায় স্বামী স্ত্রী সহ একই পরিবারের অন্তত ৪জন আহত হয়েছে। সেন্ডেলের দামদর কে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার জেরে বৃহস্পতিবার বিকালে গাংনী বাজারের রাজমনি শপিংমলের আন্ডারগ্রাইন্ড এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। আহতরা হলেন,গাংনী ৭ নং ওয়ার্ড ভিটাপাড়ার মুকুল হোসেন (৪৫),তার স্ত্রী রঙ্গিলা (৪০),মেয়ে ইয়াসমিন ও জামাতা অন্তর।বিজ্ঞাপনঃ
মুকুল হোসেন জানান,লেডিস টাচ এন্ড জেন্টস মেলার মালিক রেজাউলের দোকানে স্ত্রী,মেয়ে,জামাতা ও ছেলের বৌ সেন্ডেল ক্রয় করতে আসে। সেন্ডেল ক্রয় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এসময় মেয়েদের কুটক্তি করে অশ্লিল কথাবার্তা বলে। পরে বাড়ি গিয়ে বিষয়টি অবগত করলে মুল ঘটনা কি ঘটেছে জানতে ঘটনাস্থলে আসলে দোকান মালিক রেজাউল ইসলাম সহ তার কর্মচারীরা আমাদের উপর হামলা করে জামাকাপড় ছিড়ে দেয়। এছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরেও আঘাত করে। এসময় তাদের কাছে থাকা ৫ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। হামলা মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বিচার দাবি করেন।
গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বপন জানান,মুকুল হোসেনের পরিবারের সদস্যরা রেজাউলের দোকানে একজোড়া সেন্ডেল পছন্দ হওয়ার পর মূল্যে জানতে চাইলে দোকান মালিকের পক্ষ থেকে ৪শ৮০ টাকা বলা হয়। পরে সেটি দরদামের এক পর্যায় ২শ’৫০ টাকায় সমাধান হয়। এসময় দরদাম নিয়ে দোকান কর্মচারী ও মুকুল হোসেনের পরিবারের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। পরে মুকুল হোসেন বিষয়টি জানতে আসলে তার সাথেও বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এঘটনার পর পরই পৌর মেয়র আহমেদ আলী,৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকসেদ আলী ও গাংনী থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। এবং বিষয়টি ঈদের পরপরই সূরহা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গাংনী থানার এএসআই বিপ্লব হোসেন জানান,দোকান মালিক রেজাউলের সাথে জনৈক্য ক্রেতার ঝামেলা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
দোকার মালিক রেজাউল ইসলাম জানান,মুকুল হোসেনকে মারধর করা হয়নি। এদিকে গাংনী বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতা জানান,রেজাউল ইসলামের সাথে প্রায় প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের সাথে দামদর সহ নানা বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে।
দোকান মালিক রেজাউল ইসলামের এহেন কর্মকান্ডে বিব্রত অন্য দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকান মালিক জানান,দোকান দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে বিপুল পরিমান টাকার মালিক হয়েছে রেজাউল ইসলাম। দ্রত তার অঢেল টাকার মালিক বনে যাওয়ার বিষয়টি তদন্ত করার দাবি করেন তারা।
ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, লেডিস টাচ এন্ড জেন্টস মেলার মালিক রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বছরের পর বছর ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার ঘটনায় রাজস্ব কর্মকর্তাদের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ক্রেতাদের।
এদিকে মহিলা ক্রেতাদের লাঞ্চিত করার ঘটনা তদন্ত করে রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মহিলাদের নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ’র।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান,দোকান মালিকের রেজাউলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে দুজন মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছে।