গাংনীতে দুদকের প্রকল্পেই দুর্নীতি

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:37 PM, 11 November 2024

নতুন প্রজন্মকে সততা চর্চায় উদবুদ্ধি করার নিমত্তে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গার এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সততা স্টোর তৈরির জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কুষ্টিয়া জেলা শাখা। টাকা কোন প্রকার কাজে না লাগিয়েই নিজের পকেটে রেখে দেন এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ।

সততা স্টোর কি, সততা স্টোর’ হচ্ছে বিক্রেতাবিহীন দোকান। এসব দোকানে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণের পাশাপাশি বিস্কুট, চিপস, চকলেট ইত্যাদি রাখা হয়। প্রতিটি সততা স্টোরে পণ্যের মূল্য তালিকা, পণ্যমূল্য পরিশোধের জন্য ক্যাশ বাক্স রাখা হয়। থাকে না শুধু বিক্রেতা। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিজেরাই ক্যাশ বাক্সে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করবে– এটাই নিয়ম। এমনটাই ছিল দুদকের শিক্ষার্থীদের সততা চর্চা শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ।

এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিদ্যালয়ের মধ্যে সততা স্টোর নামে কোন ক্যান্টিন নেই। আর সততা স্টোরের কাজ কি সেটাও আমাদের জানা নেই।

এ বিষয়ে এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ জানান, বিদ্যালয়ের নাইটগার্ড মিলন হোসেনকে দুদকের ১০ হাজার টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে দেওয়া হয়েছে। সেখানে থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবেন।

নাইটগার্ড মিলন হোসেন জানান, এই দোকানটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকায় ভাড়া চুক্তিতে নিয়েছেন। তাছাড়া এমনিতেই নাম দিয়েছেন সততা স্টোর। আমাকে কোন প্রকার মালামাল কিনে দেননি প্রধান শিক্ষক। নিজের টাকা দিয়ে মালামাল কিনে বিক্রি করি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক জানান, পার্শ্ববর্তী দোকানকে সততা স্টোর বলে ব্যবহার করার কোন সুযোগ নেই। সেটিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই হতে হবে।
আর এমন হলে খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

কুষ্টিয়া দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোঃ আবু তালহা জানান, শিক্ষার্থীদের সততা চর্চায় উদ্বুদ্ধকরণের জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন করে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :