গাংনীতে দুই বউয়ের ঝগড়াই নিজের মোটরসাইকেল আগুনে জ্বালিয়ে দিল ইলেক্ট্রীক মিস্ত্রি
দুই বউয়ের মধ্যে ঝগড়া ও অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে প্রকাশ্যে নিজের মোটরসাইলে আগুন দিয়ে মনের কষ্ট দুর করলেন এক ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি। এসমসয় তিনি তার একটি দোকানঘরও ভাংচুর করেন। প্রকাশ্য ও জনসম্মুখে মোটর সাইকেলে আগুন দিয়ে আলোচানায় আসা ইলেক্ট্রিকমিস্ত্রির নাম গোলাম গোসেন (৩৫)। তিনি নবীনপুর গ্রামের মৃত মজিববর রহমানের ছেলে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাচাটার সময় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওপাড়া বাজারে এমন ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকায় চরম চা ল্যের সুষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদশর্ী নওপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, বেশ কয়েকদিন গোলাম হোসেন বিমর্ষাবস্থায় দোকানে আসেন। ঠিকঠাক মত কারো সাথে কথাও বলেননা। অনেকে বিষন্নতা নিয়ে প্রশ্ন করলে পারিবারিক ভাবে সে অশান্তিতে আছে বলে জানান। তবে তার দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী আল্পনা। তার তিন ছেলে। তাকে রেখে বছর দেড়েক আগে ভাটপাড়া আবাসনে সোনালী খাতুন নামের একজনকে বিয়ে করেন। সেখানেও তার একটি ছেলে রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর সংসারে গেলে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝগড়া করে,আর দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারে গেলে প্রথম স্ত্রী ঝগড়[া করে। এই নিয়ে সংসারে অশান্তি বইছে গোলাম হোসেনের। নওপাড়া বাজরের ব্যবসায়ী একলাচ হোসেন জানান, আজ দুপুরে দোকানে আসে গোলাম হোসেন। বিকেলে দোকান ঘর ভাঙ্গার শব্দ শূনে গিয়ে দেখি রাস্তায় মোটরসাইকেল ভাংচুর করছে। আমরা ঠেকাতে গেলে লাঠি নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে। পরে নিজের ব্যবহৃত আরকে ১০০ সিসি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাজারের ব্যবসায়ী মিলন হোসেন জানান, আমরা বাজারেই ছিলাম। হঠাৎ কালো ধুয়া দেখে রাস্তায় গিয়ে দেখি মোটরসাইকেল জ্বলছে। পরে গোলামকে স্থানীয়রা গোলামকে আটকিয়ে রাখে। এবং মোটার সাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
গোলাম হোসেনের বড় ছেলে রাজন হোসেন জানায়, কয়েকদিন যাবত আমার দুই মাকে নিয়ে আমার বাবা খুব অশান্তিতে আছে। শুনেছি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে উন্মাদ হয়ে পড়ে। আমার মা’কে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করাই আমার সৎ মা তাকে খুব কষ্ট দেয়। এই নিয়ে বাবার মন খারাপ। কারো সাথে কথাও বলছেন না কয়েক দিন। যে মোটরসাইকেলটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে সেটি আমি ও আমার বাবা দুজনই ব্যবহার করতাম।
গোলাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনালী খাতুন জানায়, আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করেছে তার একটিও রাখেনি। ফলে মাঝে মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। তবে নিজের মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে এমন ঘটনা কেন ঘটিয়েছে তা জানিনা।
বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির আবুল বাসার জানায়, সংসারে যা কিছুই হোকনা কেন মোটর সাইকেল পুড়িয়ে এবং দোকান ঘর ভাংচুর করা ঠিক হয়নি। এতে বাজারের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। তবে তিনি মানসিক ভাবে সুস্থ্য আছেনকিনা পরিবারের কাছে খেঁাজ নেয়ার কথা জানান।
দুই স্ত্রীর অত্যাচারে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনা এলাকায় চরম চা ল্যের সৃষ্টি হয়েছে।