গাংনীতে দলিল জালিয়াতির মামলায় মুহুরি পিলু সহ দুজন গ্রেপ্তার
মেহেরপুরের গাংনীতে জমির দলিল জালিয়াতির অভিযোগে মুহুরি সহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের সানঘাট গ্রামের মোনতাজ মন্ডলের ছেলে মো: আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গাংনী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
গত সোমবার মামলার ১ নং আসামী সানঘাট গ্রামের মক্কেল মন্ডলের ছেলে মজিরুল ইসলাম (৫৫) ও গাংনী উত্তরপাড়ার আজিমুদ্দীনের ছেলে দলিল লেখক হাসানুজ্জামান পিলু (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঘটনায় গাংনীর তৎকালিন সাবরেজিষ্টার মাহফুজ রানার বিরুদ্ধেও জেলা রেজিষ্টারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
মামলার বাদী মো: আব্দুর রহমান জানিয়েছেন,২০২৪ সালের জুলাই মাসের ২৪ তারিখে ৫৬৭৭ নং দলিল মূলে বিভিন্ন দাগে সানঘাট গ্রামের মক্কেল মন্ডলের ছেলে মজিরুল ইসলামের কাছে ৯৮ শতক জমি বিক্রি করি। কিছুদিন পর বিক্রিত জমির পরিবর্তে অন্য জমি দখল করতে করতে যায় মজিরুল ইসলাম সহ তার সহযোগীরা। তখন বিষয়টি জানাজানি হলে চলতি বছর ৩রা জানুয়ারীতে দলিলের নকল তুলে দেখা যায় বিক্রিত জমির তফশিল পরিবর্তন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মুল দলিলের তফশিলের একটি পাতা পরিবর্তন করে অন্য জমি লিখে নিয়েছে এবং চৌহদ্দিও পরিবর্তন করেছে।
এঘটনায় তিনি সানঘাট গ্রামের মক্কেল মন্ডলের ছেলে মজিরুল ইসলাম ও গাংনী উত্তরপাড়ার আজিমুদ্দীনের ছেলে দলিল লেখক হাসানুজ্জামান পিলুকে আসামী করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২১ তারিখ ২২/০৩/২৪ ইং। এছাড়া দলিল বাতিলের জন্য ৪৩/২৪ ইং তারিখে মেহেরপুর দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি এঘটনায় জড়িত গাংনীর তৎকালিন সাবরেজিষ্টার মাহফুজ রানা, সানঘাট গ্রামের মক্কেল মন্ডলের ছেলে মজিরুল ইসলাম ও গাংনী উত্তরপাড়ার আজিমুদ্দীনের ছেলে দলিল লেখক হাসানুজ্জামান পিলুর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করেন।
জেলা রেজিষ্টার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মো: আব্দুর রহমানের অভিযোগটি আমলে নিয়ে মুজিবনগরের সাব রেজিষ্টার মো: ইকবাল হুসাইনকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য গাংনীর তৎকালিন সাবরেজিষ্টার মাহফুজ রানার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহির রায়হান বলেন,মামলার দুজন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হবে।